'দ্য পাওয়ার, দ্য আল্টিমেট মাসল পাওয়ার'; ফরচুন বরিশাল এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচে পার্থক্য কেবল এটাই। আর তাতেই দিনশেষে হাসির জয় মিলেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে।
মিরপুর শের ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফরচুন বরিশাল এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর টানা আট জয় তুলে নিলো দলটি।
মিরপুরে এদিন টসে জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল। টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার হওয়ার ৫ বল আগেই ১২১ রানে অলআউট হয়ে যায় সাকিবের দল।
ব্যাট হাতে এদিন ভালো করতে পারেনি সাকিব। মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে যান বরিশালের অধিনায়ক। এক ম্যাচের জন্য পাকিস্তান থেকে উড়িয়ে আনা ইফতিখারও ৪ রানের বেশি করতে পারেনি। বরিশালের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। ৩২ রান করেন করিম জানাত।
এছাড়া বরিশালের পক্ষে আর কেবল ডাবল ডিজিটে পৌঁছাতে পারেন মেহেদী মিরাজ। কুমিল্লার পক্ষে ৫ উইকেট নেন মুকিদুল মুগ্ধ। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নিতে মুগ্ধ খরচ করেন মাত্র ২৩ রান।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব চাপে পড়ে যায় কুমিল্লা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ইমরুল-লিটনরা।
কুমিল্লার ইনিংসের প্রথম ১৫ ওভার পর্যন্ত তো খেলার পুরো নিয়ন্ত্রণ ছিল বরিশালের হাতে। এই সময়ের মধ্যে ৭৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় কুমিল্লা। দলটির পক্ষে লিটন ৩৬ রান করে আউট হয়ে গেলে ম্যাচে চাপে পড়ে কুমিল্লা।
তবে সেই চাপ কাটিয়ে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় কুমিল্লার দুই বিদেশি রিক্রুট আন্দ্রে রাসেল এবং খুশদিল শাহ। নিজেদের মাসল পাওয়ারের প্রদর্শনী দেখিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন এই দুই ব্যাটসম্যান।
মাত্র ২৬ বলে ৪৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটসম্যান। ৩০ বলের বাউন্ডারিখরা কাটিয়ে বরিশালের বোলারদের আক্রমণ করতে থাকেন রাসেল এবং খুশদিল।
এরমধ্যে বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন রাসেল। বরিশালের বোলারদের ভালো বলগুলোকে ২টি চার ও ৩টি ছয়ে পরিণত করে মাত্র ১৬ বলে অপরাজিত ৩০ রান করেন রাসেল। অন্যপ্রান্তে খুশদিল অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৩ রান করে।
বরিশালের পক্ষে এবাদত ৪ ওভারে ১৮ রানের বিনিময়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়াও ১টি করে উইকেট শিকার করেন খালেদ, ওয়াশিম এবং সাকিব।