বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) লজ্জার শুরু করলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টানা তিন হারে আসর শুরু করতে হয়েছে ইমরুল কায়েসদের। এদিকে কুমিল্লার হ্যাটট্রিক হারের দিনে হ্যাটট্রিক জয় তুলে নিয়েছে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশাল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১২ রানে হারিয়ে নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নিলো বরিশাল। এবারের আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল সাকিবরা। এরপর থেকে টানা জয়ের ধারায় আছে দলটি।
সাগরিকায় এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে সাকিবের উত্তাল ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ১৭৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশাল। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান তুলে থামতে হয়েছে কুমিল্লাকে।
এদিন আগে ব্যাটিং করতে নেমে বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ৮১ রানের আগ্রাসী অপরাজিত ইনিংসের উপর ভর করে বড় সংগ্রহ পায় দলটি। সাকিব মাত্র ৪৫ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছয়ে করেন ৮১ রান। এটি বিপিএলে সাকিবের দ্বিতীয় সেরা ইনিংস। এবারের আসরের দ্বিতীয় ফিফটিও বটে।
সাকিব ছাড়া বরিশালের বাকি ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি রান করতে পারেনি। ইব্রাহিম জাদরান ২৭, চতুরঙ্গ ডি সিলভা ২১ এবং আনামুল হক ২০ রান করেন। কুমিল্লার পক্ষে তানভীর ইসলাম ৩৩ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নামানো হয় লিটন দাস এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। দুইজনে ৫ ওভারের মধ্যে ৪২ রান তুলে ফেলেন। তবে রিজওয়ান ১৮ রান করে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। দারুণ টাচে ছিলেন লিটন। দুর্ভাগ্যজনভাবে ব্যক্তিগত ৩২ করতেই রান আউটের ফাঁদে পড়ে ফেরেন তিনি।
এরপর পাঁচে নেমে খুশদিল শাহ ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জেতানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু অন্য সতীর্থদের থেকে যথার্থ সঙ্গ পাননি তিনি। ইমরুল ১৫ বলে ২৮ এবং মোসাদ্দেক ১৯ বলে ২৭ রান করে কিছুটা চেষ্টা করেন।
ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও সফল ছিলেন সাকিব। ৩ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। যারফলে ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতে নিয়েছেন সাকিব। বরিশাল অধিনায়ক ছাড়াও চতুরঙ্গ, কামরুল ইসলাম, ইফতিখার এবং করিম জানাত ১টি করে উইকেট শিকার করেন।