কুমিল্লা নগরীর একটি পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ পাওয়ার অভিযোগ তুলে ফেসবুকে লাইভ করা ফয়েজ আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আসামি করা হয়েছে তাকে। চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বৃহস্পতিবার সকালে আলোচিত মন্ডপ এলাকা পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পরই (ফেসবুক লাইভ) দেশের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিও দেখলে বোঝা যায়, একটি স্পষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিশেষভাবে ঘটনাস্থল থেকে যে লোক (ফয়েজ) ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়েছে, তাকে আটক করা হয়েছে। সে কোনো দলের কর্মী কি না, তাও যাচাই করা হচ্ছে।’ফয়েজ আহমেদ (৪০) বুধবার সকালে মন্ডপ এলাকা থেকে ফেসবুক লাইভ করেন। এরপর রাত ৮টার দিকে নগরীর কান্দিরপাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আনওয়ারুল আজিম।
ফয়েজ আহমেদ কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে। তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। কোতোয়ালি থানার সামনে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফয়েজের স্ত্রী জানান, ২০০০ সালে তাদের বিয়ে হয়। এর দুই বছর পর ফয়েজ সৌদি আরব যান। গত বছর তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আসেন। এরপর নগরীর কান্দিরপাড়ের খন্দকার হক টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সে ‘মোবাইল সেবা’ নামে একটি দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেন তিনি।
ফয়েজের স্ত্রী দাবি করেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে নানুয়ার দিঘির পাড়ে হাঁটতে বের হন ফয়েজ। তখন পূজামন্ডপের ঘটনাটি ভিডিও করে ফেসবুকে শেয়ার করেন।থানার সামনে অপেক্ষমাণ ফয়েজের ছোট ভাই মো. মহসিন বলেন, ‘আমরা চার ভাই ও দুই বোন। ফয়েজ আহমেদ মেজো। আমার ভাই কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত না। মূলত আবেগের বশে সে ভিডিও করে ফেসবুকে শেয়ার দিয়েছে।’
কুমিল্লা নগরীর মনোহরপুর খন্দকার হক টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলায় গিয়ে দেখা যায়, ফয়েজের মালিকানাধীন ‘মোবাইল সেবা’ দোকানটি বন্ধ। তার সম্পর্কে আশপাশের কয়েকজন ব্যবসায়ীকে প্রশ্ন করা হলে কেউ কথা বলতে চাননি। খন্দকার হক টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান জানান, ফয়েজ দীর্ঘদিন সৌদি আরবে ছিলেন৷ দেশে ফিরে মার্কেটের চতুর্থ তলায় ভাড়ায় একটি দোকান নেন। এরপর ৪/৫ মাস আগে তিনি দোকানটি কিনে নেন।
সাইফুল ইসলাম সুমন,অননিউজ24।।