কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানাধীন আমড়াতলী ইউপির মনিপুর গ্রামে মোখলেছুর রহমানের বাড়িতে গত ২৩ আগষ্ট মুরগী ও মোবাইল চুরির সময় একই এলাকার শাহ পরাণ (সাক্কু) চোরাকে হাতেনাতে ধরে এলাকাবাসী। এসময় উত্তেজিত জনতা শাহ পরাণকে গণপিটুনি দিয়ে আহত অবস্থায় স্থাণীয় ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে যান। এসময় ইউপি সদস্য সিরাজ শাহ পরাণকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ দেন। তখন স্থানীয়রা শাহ পরাণকে তার ছেলে এরশাদের নিকট হস্তান্তর করেন। হস্তান্তরের পর শাহ পরাণ অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
শাহ পরাণের একাধিক চুরির ঘটনায় তার পরিবার বিক্ষুদ্ধ থাকায় তাকে সঠিকভাবে চিকিৎসা না করায় ঘটনার ১০দিন পর হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর পর শাহ পরাণের ছেলে এরশাদ বাদী হয়ে মনিপুর গ্রামের মোখলেছের ছেলে রুবেল, ধনু মিয়ার ছেলে ইমান উদ্দিন, আনোয়ার হোসেনের ছেলে হাছান, বারেক মিয়ার ছেলে তোফায়েল ও মোখলেছ মিয়ার ছেলে পাভেলের নাম উল্লেখপূর্বক ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মিথ্যা মামলার কারণে এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে যায়। এসুযোগে শাহ পরাণের ছেলে এরশাদ বিভিন্ন বাড়িতে চুরি করে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। বর্তমানে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাই প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন পূর্বক দোষীদের শাস্তি দাবি করে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসামী হাছানের বোন মোসাঃ ফারহানা বেগম। এসময় আব্দুর বারেক জোসনা বেগম, মনোয়ারা বেগম, ফাতেমা বেগম উপস্থিত ছিলেন।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ২৪।।