ঘটনার সুত্রে জানা যায়, ভিকটিম ইখতেখার হাসান ইমন পিতা-মোঃ আলাউদ্দিন, সাং-পিপইয়াকান্দি, থানা-দাউদকান্দি, জেলা-কুমিল্লার সাথে আসামী মোঃ নাছির উদ্দিন মুরগা নাছির ও তার সহযোগীদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো এবং দেখে নিবে বলে হুমকি দিত।গত ২০/১২/২১ দাউদকান্দি নূরানী মাদ্রাসার বাৎসরিক ওয়াজ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
ভিকটিম ইখতেখার হাসান বাড়ী হতে বের হয়ে মাহফিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে, ভিকটিম নিজ এলাকা পিপইয়াকান্দি ওয়াজস্থলে আসলে আসামী নাছির তাকে দেখতে পেয়ে তার সকল সহযোগীদের অবগত করে তাদের একত্রিত করে এবং ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আসামী নাছির ও তার সহযোগীরা অতর্কিতভাবে ভিকটিম এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং এক নাম্বার আসামী নাছির তার হাতে থাকা ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে পিছে থেকে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার পিঠের ডান পাশে ঘাই মেরে গুরুতর জখম করে।
একই সাথে নাছির এর সহযোগী দুই নাম্বার আসামী ইয়াছিন তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাম হাতের নিচে ঘাই মারে তিন নাম্বার আসামী হৃদয় তার হাতে থাকা ধারালো ছেনি দিয়ে ভিকটিমকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাম হাতের উপরে পোচ দিয়ে গুরুতর জখম করে এবং পাঁচ নাম্বর আসামী মাইনুদ্দিন সহ আরো ১৫/২০জন লোহার রড ও লাঠি সোঠা দিয়ে ভিকটিমকে এলোপাথারী মারধর করে মাটিতে ফেলে রেখে যায়।
পরবর্তীতে সিএনজি যোগে স্থানীয় জনতা ভিকটিমকে আশংকা জনক অবস্থায় দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা আশংকাজনক দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করলে সেখানে নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ২০ ডিসেম্বর রাত ০৯:৪৫ ঘটিকার সময় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন।
পরবর্তীতে ২২ ডিসেম্বর ভিকটিমের চাচা জামাল বাদী হয়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানায় ১২জন এজাহারভূক্ত ও অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই আসামীরা পলাতক ছিল র্যাব-১১, সিপিসি-২ ,২৪ ঘন্টার মধ্যেই ২২ ডিসেম্বর অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার মালাখালা গ্রামের মৃত আজগর আলীর ছেলে ও এক নাম্বার এজাহারভূক্ত আসামী নাছির উদ্দিন মুরগা নাছির, একই গ্রামের আঃ মান্নান এর ছেলেও দুই নাম্বার আসামী ইয়াছিন ও বশির এর ছেলে ও তিন নাম্বার আসামী হৃদয় এবং একই থানার নারিকেলতলা গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলেও পাঁচনাম্বার আসামী মাইনুদ্দিন কে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে। এজাহারভ‚ক্ত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24