কুমিল্লা নগরীর হাউজিং এষ্টেট আবাসিক এলাকায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনের ২য় তলা থেকে এক প্রহরীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। নিহতের নাম আবদুস সালাম (৬৫), তিনি কুড়িগ্রাম জেলা নাগেশ্বরী উপজেলার মুমিনগঞ্জ গ্রামের মৃত পনির উদ্দিনের ছেলে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় হাউজিং এস্টেট এলাকার ২ নং সেকশনে পিবিআই অফিস সংলগ্ন রোডের ১০ তলা নির্মাণাধীন ভবনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল কামরান হোসেন। তবে পরিবারের দাবি সালামকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের ছেলে জাহিদ হাসান বলেন,গত বুধবারে বাবা বিল্ডিং পাহারা দেওয়ার সময় আব্বুকে নূরপুরের কয়েকজন ছেলে ছুরি ঠেক দিয়ে ৬/৭ হাজার টাকা নিয়ে যায় বলে আমাকে কল করে জানায়। আমি তখন ঢাকা থাকায় আসতে পারিনি। আমার বাবা বলেছিলো তুই আসলে ছেলেগুলারে তুরে চিনাইয়া দিমু। এরপরের দিন বৃহস্পতিবারে বাবা মোবাইলে দুপুরের ভাত খাইছে জানায়, মাগরিবের পর থেকে বাবাকে কল দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। শনিবার সকালে ভবনের ঠিকাদার বাবুল কাকা মোবাইলে বলেন, বাবার লাশ নাকি বিল্ডিংয়ের ২য় তলায় পড়ে আছে। আমি মনে করি আমার বাবাকে নুরপুরের ছেলেগুলো হত্যা করেছে। সিসিটিভির ফুটেজ গুলো দেখলে আমার বাবার হত্যাকারীদের চিহ্নিত করা যাবে। আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই।
নির্মাণাধীন ভবনের শ্রমিকরা জানায়, শনিবার সকাল ১০ টায় ভবনের ৬তলায় কাজ করতে গেলে প্লাস্টিক জুতা আনার সময় ভবনের ফাঁকা অংশ দিয়ে নিহত সালামের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় তারা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়।
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন,আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করি। নিহত সালামের কপালে ও হাতে ক্ষত বিক্ষতের চিহ্ন দেখতে পাই। আশা করি ময়নাতদন্ত শেষে ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে ।