দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর প্রতিবাদে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে কুমিল্লা পূবালী চত্বরে দ্রব্যমূল্যের দাম কমানোর প্রতিবাদে অনশন করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমির হামজা মাসুম।
বেপরোয়া ভাবে বৃদ্ধি পাওয়া দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির লাগাম টানতে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের পক্ষে একাই প্রতিবাদ শুরু করেন মাসুম। শুরুটা একা হলেও সেই প্রতিবাদের সারিতে মাসুমের মতো আরো অনেকেই এসে দাড়িয়েছে নিজ থেকে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মাসুম বলেন, আমি এখানে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেইনি। আমি এখানে প্রতিবাদ করছি দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্ব গতির নাটের গুরু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে। দেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষ কিন্তু কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করছে না। কেউ না কেউ তো শুরু করতে হবে। তাই আমিই এই কুমিল্লা থেকে শুরু করলাম। যতদিন দ্রব্যমূল্যের দাম না কমাবে ততদিন আমার এই অনশন প্রতিবাদ কর্মসূচি চলবে।
সে আরো বলে আমাদের মতো ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি থেকে যে খরচ দেয় তা দিয়ে শহরে থেকে পড়াশোনা করা কঠিন হয়ে গেছে। আমি জানি সরকার চাইলে সবই সম্ভব। সরকার যদি এখন এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে ভবিষ্যতে আমাদের মতো সাধারণ মানুষ না খেয়ে মরতে হবে। দেশে নিরব দুর্ভিক্ষ চলছে কিন্তু কেউ প্রকাশ করতে পারছে না। আমি প্রতিবাদ শুরু করেছি আজকে তিনদিন। ১ তারিখের মধ্যে যদি প্রশাসন কিংবা সরকার বিষয়টি আমলে না নেয় তাহলে আগামী ১মার্চ থেকে আমরণ অনশন শুরু করবো।
রফিকুল ইসলাম নামের একজন পথচারী বলেন, এটা শুধু তাদের দাবি না এটা আমাদের সকলের দাবি। আমরাও চাই সরকার যেন জিনিসপত্রের দাম কমায়। সামনে রমজান, রমজানকে ঘিরে এই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা যে আবার জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে না পারে সেই জন্য প্রশাসন যেন সজাগ থাকে। আজকে এখানে যারা প্রতিবাদ করছে আমিও একমত পোষণ করছি।