একটি কুচক্রী মহল বিভিন্ন গণমাধ্যমে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রচার করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ইলিয়াস হোসেন সবুজ ক্যাম্পাসে মানবিক ছাত্রনেতা হিসেবেই পরিচিত। সাধারণ যে কোন শিক্ষার্থীর বিপদে সবার আগে ঝাপিয়ে পড়েন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায় ক্যাম্পাসে কোন নবীন ছাত্রকে র্যাগ দেয়া হচ্ছে খবর শুনেই ছুটে যান, আগে ছাত্রটিকে উদ্ধার করে যারা র্যাগ দিছে তাদের শাসান। কঠোরভাবে ঘোষণা দেন এ ক্যাম্পাসে কোন প্রকার র্যাগের নামে মানসিক নির্যাতন চলবে না।
ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি বেশ জণপ্রিয়। তিনি ছাত্রলীগের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার দক্ষিণ পেরুল ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে জন্ম ইলিয়াসের। স্কুল কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে সে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম ব্যাচে ভর্তি হন লোকপ্রশাসন বিভাগে। ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন। প্রথমে ছাত্রলীগের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সভাপতি এবং বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে ইলিয়াসকে অনেক চড়াই উৎরাই পার হতে হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বারংবার তাঁকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সর্বদাই সে আদর্শে ছিলো অটুট। ইলিয়াস সভাপতি হওয়ার পর থেকেই বদলে যায় ক্যাম্পাসের চিত্র। ঘোষণা দেয় ক্যাম্পাস হবে র্যাগিংমুক্ত। ক্যাম্পাসে কমে আসে সাধারণ ছাত্র নির্যাতন। যখনই কোন ছাত্রের উপর অতর্কিত হামলা হয় সবার আগে হন্যে হয়ে ছুটে আসেন সভাপতি। হামলাকারী নিজ দলের হলে শোকজ দিয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে কুন্ঠাবোধ করেন না। সাংবাদিককে হুমকি দেয়ায় নিজ দলের দুই নেতাকে বহিস্থার করে দেন।
হলে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করায় তদন্ত কমিটি করে দুজনকে হল কমিটির পদ স্থগিত করে দেয়। ক্যাম্পাস কিংবা হল কোথাও আধিপত্য বিস্তারে অন্যায় দেখলেই নেতা নিজে ডাকিয়ে এনে সবার সামনে শাসান। বঙ্গবন্ধু হলের এক পদধারী নেতা এলাকায় হলের পোলাপান নিয়ে গন্ডগোল করতে গেলে, রাতে ওই নেতাকে সবার সামনে অপমান করে হল থেতে বের করে দেন। ইলিয়াসের কথা একক কোন ব্যাক্তির জন্য সংগঠনের ইমেজ নষ্ট করতে দেয়া যাবে না।
ইলিয়াস সভাপতি প্রায় তিন বছর। এ তিন বছরে ছাত্র আন্দোলন কিংবা কোন প্রকার মারামারির ঘটনায় ক্যাম্পাস বন্ধ থাকেনি একদিনের জন্যও। এটা এক অনন্য নজির।
ভর্তি পরীক্ষার সময় ইলিয়াস সকল নেতাকর্মীদের হল খালি করার নির্দেশ দেন। দূর থেকে পরীক্ষার্থীদের হলে থাকার ব্যবস্থা করেন, রাতে খাবারের ব্যবস্থা করেন। পরিক্ষাকালীন হলের নেতাকর্মীরা নির্ঘুম রাত কাটিয়ে ভর্তিচ্ছুদের থাকার জায়গা করে দেন।এটা অন্য যে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দৃষ্টান্ত।
করোনাকালে এ নেতা আরো মানবিক। নিজ এলাকায় নিজের অর্থায়নে কয়েকশ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। বেশ কদিন ধরে একটি কুচক্রী মহল ইলিয়াসের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এবং অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে বলে জানান তিনি।
সার্বিক বিষয়ে ইলিয়াস বলেন, আমি কেমন তা সবচেয়ে ভালো বলতে পারবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমি ছাত্রনেতা, সবসময়ই চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি আদায়ে সচেষ্ট থাকতে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগে কোন প্রকার গ্রুপিং নেই। এটাকে সারাদেশের মডেল ইউনিট বলবো আমি। ক্যাম্পাসে কোন প্রকার অরাজকতা বিশৃঙ্খলা নেই। সর্বোচ্চ চেষ্টা করি ক্যাম্পাসকে স্থিতিশীল রাখতে।
কেউ যদি অনৈতিক স্বার্থ চারিতার্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সে দুঃখজনক। আশা করি তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। শিক্ষার্থীরা জানান, নেতা হবে অনুকরণীয়। ছাত্রনেতা কাজ করবে ছাত্র ছাত্রীদের কল্যানে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তথা সারাদেশের জন্য দৃষ্টান্ত কুবি ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ।
সাইফুল ইসলাম সুমন,অননিউজ24।।