কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ ক ম বাহা উদ্দিন বাহার বলেছেন, কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগ হবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উদাহরণ। কুমিল্লা এগুলো এগুবে বাংলাদেশ। কুমিল্লা হবে সকল স্তরের উদাহরণ। তিনি গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের প্রথম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিকাল ৩ টায় শুরু হওয়া সম্মেলন উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।
সম্মেলনে আগামী ১ বছরের জন্য নুর মোহাম্মদ সোহেলকে কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ও মোশারফ হোসেন মুনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সহ-সভাপতি হিসেবে টিটু মজুমদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দিদারুল হক আকাশ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নামও ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. তাহসীন বাহার সূচনা, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মো. আতিক উল্লাহ খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজাহারুল কবির শয়ন।
সম্মেলনে এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার আরো বলেন, হতাশার কিছু নেই। ভিক্টোরিয়া কলেজ সহ সবগুলো কলেজের নতুন কমিটি করতে হবে। কলেজগুলোতে অনেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক লাগবে আমাদের তাই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে আমরা মহানগর ছাত্রলীগে আনতে পারি নাই। দুঃখের কিছু নেই। ২৩ বছর সংগঠনে আমার নাম লিখা ছিল না আমি কিন্তু দল ছেড়ে যাইনি। আমার জীবনে সবচেয়ে বড় অর্জন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
কুমিল্লায় ছাত্রলীগে কোন বিভক্তি নেই জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কুমিল্লায় কমিটির চেয়ে ছাত্রলীগ বেশি ঐক্যবদ্ধ। আমার প্রানের সংগঠন ছাত্রলীগ। আমাদের নেতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বাধীন করার স্বপ্ন দেছিলেন তার স্বপ্নকে আমরা বাস্তবায়ন করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছি। আমরা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়ন করে এখন ৪১ এর বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখি। আমরা যেদিন মুক্তিযুদ্ধের সৈনিক ছিলাম এই প্রজন্মের সন্তানরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের সৈনিকের ভূমিকা পালন করেেব। কারন সেখানে নেতৃত্ব দিবে ছাত্রলীগ। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে আস্বস্ত করতে চাই এটাইতো কুমিল্লা। এই কুমিল্লায় কোনো বিভক্তি নেই।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক এ কে এম আবদুল আজীজ সিহানুকের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি কোহিনুর আক্তার রাখি, সহ-সভাপতি সাইফুল্লা আব্বাছী অনন্ত, সহ- সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস, মাদ্রাসা শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম শাকিল, উপ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক নূরন্নবী প্রিন্স, উপ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হোসেন পারভেজ, উপ-অটিজম বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ারুল কবির দীপু, উপ-কারিগরী শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম মোল্লা, সহ সম্পাদক আতিকুর রহমান মজুমদার, সদস্য রূহুল আমিনসহ প্রমুখ।