কুমিল্লার মেঘনায় পৃথক সহিংসতায় দুইজন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) উপজেলার মানিাকরচরের ইউনিয়নে আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাহুরখলা ইউনিয়নের খিলারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা চালিয়ে মেম্বার প্রাথী ও চেয়ারম্যান বিদ্রোহীদের হামলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- উপজেলার বাহুরখলা ইউনিয়নের হিরার চর গ্রামের মৃত মুদাফর আলীর পুত্র সানাউল্লাহ ডালি (৬০) ও একই উপজেলার মানিকচর ইউনিয়নের বল্লবের কান্দি গ্রামের মোবারক হোসেনের পুত্র শাওন আহমেদ (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেঘনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সালাউদ্দিন মোল্লা।
তিনি জানান, গুলিবিদ্ধ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে একজনের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ অন্যদের অবস্থাও আশংকাজনক। স্থানীয়রা জানান, বেলা ১২টার দিকে একদল বহিরাগত হঠাৎ করেই আমিরাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে। এ সময় বাধা দিলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশের গুলিতে জশ মিয়া, শাওন আহমেদ ও নাজমুল তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, মানিকারচর জামে মসজিদের ইমাম নাজমুল হাসান মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেন যে ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতরা প্রবেশ করে ভোট দিচ্ছে। এ ঘোষণার পরই ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনা শুরু হয়।
তারপরই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে ইমামকে আটক করা হয়। এদিকে উপজেলার বাহুরখলা ইউনয়নের খিলারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রাথীর সংঘর্ষে সানাউল্লাহ আহত হয়। এ সময় মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায়।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24