কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির জন্য বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন। হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ করেননি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা একসাথে যুদ্ধ করেছি এবং বিজয় অর্জন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর আমরা একটি কালো অধ্যায় পার করেছি। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে তারা মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিনত করতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর দেশকে আবারও বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনায় স্ব-নির্ভর বাংলাদেশে পরিনত করছেন। মৌলবাদী চক্রের হাত থেকে দেশকে রক্ষায় সকল ভেদাভেদ ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। হিন্দু-মুসলিম ভাই ভাই, পরিচয় আমাদের বাঙালি।
গতকাল রবিবার (২২ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়ন, উত্তর দূর্গাপুর ইউনিয়ন, আমড়াতলী ও পাচথুবী ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও সনাতন ধর্মালম্বীদের সাথে শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি এসব কথা বলেন।
এসময় জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান, আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.আমিনুল ইসলাম টুটুল, পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ সহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে এমপি বাহার বলেন, আগামী জানুয়ারি মাসে নির্বাচন। দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে ভেদাভেদ ভুলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে। ১৯৭১ সালে জাতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণে আমেরিকাও আমাদের সাথে পারেনি, এবারও আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে যতই চক্রান্ত হোক শেখ হাসিনাকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর চেতনায় ছিল- ধর্ম হবে যার যার, রাষ্ট্র হবে সকলের। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাস করে আজকে কুমিল্লায় এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুন্দর কুমিল্লা তৈরী করেছি। আমাদের সমাজে সকল আচার অনুষ্ঠান হিন্দু মুসলিম ভেদাভেদ ভুলে একসাথে উদযাপন করি। বিয়ে শাদীতেও সমাজে একে অপরকে নিমন্ত্রণ করি। এক সম্প্রীতির বন্ধন আমরা তৈরি করেছি।
শান্তির কুমিল্লায় আমরা কাউকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেইনি। বাবরি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় কাউকে শান্তি বিনষ্ট করতে দেওয়া হয়নি।আমি এমপি হওয়ার পর মসজিদে যেমন অনুদান দিয়েছি, মন্দিরেও দিয়েছি। কবরস্থানে যখন অনুদান দিয়েছি, শশ্বানেও দিয়েছি। শেখ হাসিনা টিকে থাকলে আগামীতে এই অনুদান অব্যাহত থাকবে।
জানা যায়,বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার গতকাল রবিবার ছিল মহা অষ্টমী। মন্ডপে মন্ডপে চলছিল নানা আচার অনুষ্ঠান। এমন আনন্দঘন মূহুর্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি’র আগমন ঘিরে বাড়তি আমেজ যোগ হয় পূজা মন্ডপগুলিতে। সনাতন ধর্মালম্বীরা শঙ্খ বাজিয়ে ,উলু ধ্বনি দিয়ে বরণ করে নেন তাদের প্রিয় অভিভাবককে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যার পর আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের যশপুর পূজামন্ডপ দিয়ে পরিদর্শন ও শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় শুরু করেন এমপি বাহার। রাতে তিনি দূর্গাপুর উত্তর, আমড়াতলী ও পাচথুবী ইউনিয়নের বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা বাবু শিবু প্রসাদ রায়, অচিন্ত্য দাস টিটু, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আতিকুল্লাহ খোকন, চিত্তরঞ্জন ভৌমিক , সাংস্কৃতিক সম্পাদক হাবিবুল্লাহ তুহিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মোখলেসুর রহমান, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এনামুল হক এনাম, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক সালেহ আহমেদ রাসেল, আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আবুল বাসার,সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল,মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, মহানগর শ্রমিক লীগের আহবায়ক আনিছুর রহমান ভূইয়া, যুগ্ম আহবায়ক নজরুল ইসলাম মাষ্টার,হাসান মাহমুদ চৌধুরী সুমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম রিন্টু, সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান পিয়াস, মহানগর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক নূর মোহাম্মদ সোহেল, সহ মহানগর আওয়ামী লীগ,আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সাথে ছিলেন।
এছাড়া কালির বাজার ইউনিয়ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মো সেকান্দর আলী চেয়ারম্যান, সাধারন সম্পাদক মো. ইউনুস, উওর দূর্গাপুর ইউনিয়ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল, আমড়াতলী ইউনিয়নে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে কাজী মোজাম্মেল হক চেয়ারম্যান, পাচথুবীতে হাসান রাফি রাজু সহ স্থানীয় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।