আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিচ্ছেন। নেতাকর্মীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা করছেন।
গেল কয়েকদিন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় নির্বাচনে তারা ভোট দিতে মুখিয়ে আছেন। চেয়ারম্যান পদে ভোটারদের পছন্দের তালিকায় আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তায় অপ্রতিদ্বন্দ্বি অবস্থান তৈরী করে রেখেছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু।
যদিও এবার দল থেকে প্রার্থী দেয়ার সুযোগ নেই। তবে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগ সংগঠনসহ সর্বস্তরের ভোটার এবার আব্দুল হাই বাবলুকে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করতে একাট্টা।
আব্দুল হাই বাবলু কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তবে এর আগেও তিনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান। বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট কুমিল্লা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই বাবলু ২০১৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ।
এর আগে ১৯৯১ সালে বৃহত্তর কুমিল্লা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৮ সালে একই পদে দায়িত্ব পালন করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রছাত্রী সংসদের সাবেক ভিপি জিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও স্বৈরাচার এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনেও বাবলুর ভূমিকা ছিলো অনস্বীকার্য। ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলার পর কুমিল্লা কান্দিরপাড়ে প্রবল প্রতিরোধ তৈরি করা বাবলুর রাজনৈতিক বিচক্ষণতা নিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষজন জানান, আব্দুল হাই বাবলু রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কর্মকাণ্ডেও ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। এখন পর্যাপ্ত তিনি অন্তত ১৫ হাজার সালিশ দরবার নিষ্পত্তি করেন।
উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাবলুর সামাজিক কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। নাম না প্রকাশ করা সত্ত্বেও দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা জানান, সদর দক্ষিণ লালমাই ও নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামীলীগ একটি পরিবারের কাছে জিম্মি। এই জিম্মি দশা থেকে মুক্ত হতে এবার তারা আব্দুল হাই বাবলুকে বেছে নিয়েছেন। অবাত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আব্দুল হাই বাবলু নিরস্কুশ বিজয় পাবেন।
নির্বাচনে নিজের অপ্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে আব্দুল হাই বাবলু বলেন, আমাকে রাজনৈতিকভাবে তৈরি করেছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ. ক.ম বাহার উদ্দিন বাহার। আমি যখন ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িয়েছি তখন থেকেই বাহার ভাইয়ের নির্দেশে সংগঠনের কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখি। আমি মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছি। তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছি। প্রতিটি কাজে আমার নেতা বাহার ভাইয়ের নির্দেশনা মোতাবেক করেছি।
তিনি আরোও বলেন, গেলো কয়েকবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দলীয় সিদ্ধান্ত বাহিরে যায়নি। এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে উন্মুক্ত করেছেন। তাই এবার আমি চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন করম জমা দিয়েছি। নির্বাচনে কোন বিষয়টাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে আব্দুল হাই বাবলু বলেন, আমি যখন নির্বাচনে পর্ব আমার নেতাকর্মীরা যারা আমার জন্য কাজ করবেন তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদেরকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমাকে বলা হচ্ছে নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও ফলাফল ঢাকা থেকে পরিবর্তন ফেলবে। তবে আমি ও আমার নেতাকর্মীরা সহ সকলেই আমরা যে কোন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কোন বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবেন, এমন প্রশ্নে বাবলু বলেন, প্রথমেই আমাদের ঐতিহ্য ও আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার লালমাই পাহাড়টিকে রক্ষা করতে যা যা করতে হয় সব করবো। এছাড়াও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের হিসাবে সদর দক্ষিণ উপজেলা কে মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।