কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ১০৩টি মামলা নিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন অনেক প্রার্থীরা

শান্তুনু হাসান খান।।

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২৫নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ নেতা জিল্লাুর রহমান জিলানীকে ২০২০ এ ২১ শে নভেম্বার কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঐ মামলায় ৪ নম্বর আসামী সদর দক্ষিন উপজেলা যুব দলের সভাপতি মো. খলিলুর রহমান মজুমদার এখন কাউন্সিলর প্রার্থী। একই হত্যা মামলায় ২ নম্বর আসামী কুমিল্লা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মো. আব্দুস সাত্তার, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে এবং এক নম্বর আসামী ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হাসান এবার নির্বাচনে আছেন। আবুল হাসান ও খলিল মজুমদার তারা আপন খালাতো ভাই। আব্দুস সাত্তার তাদেরই ঘনিষ্ঠজন। এরা সবাই জামিনে এসে দিব্বি কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করেছেন।

অপর দিকে ২০১৮ তে ২৬ শে নভেম্বর রাতে বল্লভপুরে দক্ষিন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দেলুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঐ হত্যা মামলার আসামী আব্দুস সাত্তার ।

এ তিনটি ওয়ার্ড ২৫, ২৬, ২৭ এ আধিপত্য বিস্তার, চাদাঁবাজি, সীমান্তের চোরাচালান, মাদক ব্যবসার বিস্তার আর গরুর বাজারের নিয়ন্ত্রন নিয়ে দীর্ঘদিন একটি অসামাজিক কর্মকান্ড চলে আসছে এলাকাতে- এসব অবসান চাইছেন এলাকার সাধারণ ভোটারগন। অপরদিকে অস্র, বিস্ফোরক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১০৩টি মামলা রয়েছে। এর মাঝে ৩ জন প্রার্থী আছেন, জামাতের সাথে তাদের সখ্যতা রয়েছে। অপর একজন যুবদলের নেতা। তারা সবাই বলছেন , রাজনৈতিক ফয়দা লুটার জন্য প্রতিপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে এসব মামলা করে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

এছাড়া হত্যা, নারী নির্যাতন, মাদক ও অস্রবাজিসহ বিভিন্ন মামলা ২০জন কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। এদের মাঝে ১৪জন আওয়ামীলীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর নামে ১৭টি মামলা বিদ্যমান। নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় আরও তথ্য পাওয়া যায়, ১ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অ¯্র, বিস্ফোরক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা আছে। তিনি মহানগর জামাতের সাথে সম্পৃক্ত। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একরাম হোসেন বাবু বিরুদ্ধে ২৫টি মামলা আছে। তিনিও জামাতের সাথে সম্পৃক্ত। অপরদিকে ২ নম্বরের কাউন্সিলর যুব দলের নেতা বিল্লালের বিরুদ্ধে ২৬টি মামলা আছে। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের খলিলুর রহমান মজুমদার ৫টি মামলা আছে। ২৬ নম্বরের সাত্তারের বিরুদ্ধে ২টি খুনের মামলা আছে, ২৭ নম্বরে হাসানের বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা। ২৩ নম্বরের কাউন্সিলর আলমগীরের বিরুদ্ধে হত্যামামলা। ১৩ নম্বরের সাখাওয়াত উল্লাহ শিপনের বিরুদ্ধে মারামারির মামলা এবং ১৫ নম্বরে সাইফুল বিন জলিলের বিরুদ্ধে ২টি মামলা।

এসব বিষয়ে রির্টানিং কর্মকর্তা জানান, প্রার্থীরা নিজেদের অপকর্ম এবং মামলার বিষয়টি নিজ দায়িত্বে হলফনামায় প্রকাশ করেছেন এবং তারা জামিনে থেকে ১৫ই জুন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

আরো দেখুনঃ