কুষ্টিয়া বিদ্যুৎ সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
আমলা অফিস \ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৯ টা থেকে কুষ্টিয়ার বারখাদা এলাকার কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এর সদর দপ্তরে জমায়েত হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন সমিতির ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। সারাদেশের সমিতির সাথে একযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
সকাল থেকেই নিজেদের দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করছেন তারা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দুটি দাবি হলো- স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে। এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও
নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিতরণ লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যাই। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষরসহ চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।
কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) মোকসেমুল হাকিম বলেন, সারাদেশের সাথে একযোগে আমাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে জরুরী বিদ্যুৎ সেবার দিকে আমাদের নজর রয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপিড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে আবারও আমাদের কর্মবিরতিতে যেতে হলো।