আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি’র সভাপতি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি’র আসনে লড়তে মোট ১৩ জন প্রার্থী এখন মাঠে। কুষ্টিয়া-২ আসনে কাউকে নৌকা প্রর্তীক দেওয়া হয়নি। এই আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। এই আসনে নৌকা প্রর্তীক না থাকায় জাসদ-স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভোটারদের মধ্যে রয়েছে আতংক। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর আসন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) থেকে এবারের নির্বাচনে লড়বেন কামারুল আরেফিন নামের এক আওয়ামী লীগ নেতা। তাই তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, আগামী ৭ই জানুয়ারি’২৩ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিনে কুষ্টিয়া ২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছেন। কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. এস এম মুস্তানজিদ লোটাস, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইফতেখার মাহমুদ, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) ডা. শহিদুল ইসলাম ফারুকী, বিএনএম পার্টির শেখ আরিফুর রহমান, ইসলামি ফ্রন্ট বাংলাদেশ বাবুল আক্তার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল আরেফিন, সাম্যবাদী দলের আনোয়ার হোসেন বাবলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুজ্জামান নবাব, ন্যাশনাল পিপলস্ধসঢ়; পার্টি (এনপিপি) এ, জে, এম শাহিদুজ্জামান (জনি),স্বতন্ত্র প্রার্থী রুবেল পারভেজ ( সজল) ও জাকের পাটির নেতা রওশন আলী মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে ৩০০ আসনের মধ্যে একটি কুষ্টিয়া-২ (ভেড়ামারা-মিরপুর) আসন কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। আসনটি এখনো ফাঁকা রাখা আছে। এই আসনে নৌকা প্রর্তীক না থাকায় জাসদ- স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভোটারদের মধ্যে রয়েছে আতংক।
১৪ দলীয় জোটের অন্যতম রূপকার জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ছাড় দেওয়ার জন্য আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির নেতারা। কেন্দ্রীয় জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক আব্দুল আলিম স্বপন বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতেই পারেন। তবে আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে হাসানুল হক ইনুকে এ আসনে আবারও দলীয় মনোনয়ন (নৌকা) দেওয়া হবে। নৌকার বিপক্ষে কে নির্বাচনে অংশ নিলো তাতে কিছু যায় আসে না। কেন না আওয়ামী লীগ যারা করেন, যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি করেন তারা কখনো নৌকার বাইরে ভোট দেবেন না। অতীতেও দেখা গেছে অনেক জনপ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতা নৌকার বাইরে গিয়ে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন। এ আসনে হাসানুল হক ইনুর বাইরে বা নৌকার বাইরে যে বা যারা নির্বাচনে অংশ নিক না কেন তাতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন বলেন, এ আসনে জাসদ নেতা ইনু আওয়ামী লীগের ৮০ শতাংশ ভোটের ওপর ভর করে বিগত তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এবার তার ২০ শতাংশ ভোট নিয়ে নির্বাচন করতে হবে। দুই উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছে আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য। কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার কাছে আমি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ার-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে নির্বাচন করবো। নির্বাচনে জয়লাভও করবো ইনশাল্লাহ।
এ আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, কুষ্টিয়া-২ আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। যদি আমাকে নৌকা দিলে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো। আর না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবো। এজন্য উপজেলা চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।
এদিকে বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন থেকে বিরত থাকায় এবার স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইনুকে কোনো প্রকার ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ কারণে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও বিপুল জনপ্রিয় মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছে। মানুষের কল্যানে আরো বেশি কাজ করার লক্ষ্যে
এফআর/অননিউজ