কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী শারমিন আক্তার নাসরিন। নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ছয় প্রার্থীর মধ্যে হয়েছেন পঞ্চম। ৩১ হাজার ভোটের মধ্যে ৪২৭ ভোট পেয়ে হারিয়েছেন জামানত।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, শেখ হাসিনা তাকে নৌকা দিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের উচিত ছিল তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা। নৌকা বাদ দিয়ে যারা গ্রুপিং করেছে, তাদের শাস্তি হবে। যারা নৌকায় ভোট দেননি, তারা কিসের আওয়ামী লীগ? পোড়াদহ ইউনিয়নে কি আওয়ামী লীগের এই কয়টি ভোট?’
আলোচিত এই প্রার্থীর নাম শারমিন আক্তার নাসরিন। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ৯ নম্বর পোড়াদহ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। তবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার সময় থেকে তাকে নিয়ে চলছে সমালোচনা। ‘স্বাধীনতাবিরোধীর মেয়ে’ নৌকা পেয়েছেন, এমন অভিযোগ তুলে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বিভক্ত হয়ে পড়েন। পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে গত ১১ নভেম্বর।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দারের সই করা ফলাফলে দেখা যায়, মোট ৩১ হাজার ১৬৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৪ হাজার ৮৩২ জন ভোট দিয়েছেন। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুকুজ্জামান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ১২ হাজার ৫৩৪ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী ছিলেন মোটরসাইকেল প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনজির আহমেদ। তিনি পেয়েছেন ৯ হাজার ৮১০ ভোট।
আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শারমিন আক্তার নাসরিন পেয়েছেন ৪২৭ ভোট। মোট ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে তিনি পঞ্চম হয়েছেন। নির্বাচনি বিধি মোতাবেক, ১২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থী জামানতের টাকা ফেরত পাবেন না। নৌকার প্রার্থী শারমিন আক্তার নাসরিন পেয়েছেন ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট। এ অবস্থায় জামানত হারিয়ে শারমিন তাকে মনোনয়ন দেয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের লজ্জায় ফেলে দিয়েছেন।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।