কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে শহিদুল ইসলাম (২১) নামের এক যুবককে গলা কেটে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও এক আসামিকে আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।
আমৃত্যু কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি হলেন সালাম মোল্লা। তিনি কুমারখালী উপজেলার কালিকাতলা এলাকার মৃত মুনছের মোল্লার ছেলে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুমারখালী উপজেলার শানপুকুরিয়া এলাকার আমির হামজার ছেলে সাইফুল ইসলাম ও কালিকাতলা এলাকার হারুনার রশিদ হারুর ছেলে রেজাউল জোয়ার্দার কালু।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৩ মে রাতে শহিদুল ইসলাম নিখোঁজ হন। পরে ২৮ মে সকাল ৬টার দিকে কালিতলা এলাকায় একটি ডোবায় তার গলাকাটা মরদেহ শনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন। পরে কুমারখালী থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। সেদিন নিহত শহিদুল ইসলামের বাবা মুনছের আলী বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ১৬ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১৮ জানুয়ারি রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। এ মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।
এদিকে নিহত শহিদুল ইসলামের বাবা মুনছের আলী রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমার ছেলে শহিদুল ইসলামকে নির্মম নির্যাতন করে গলা কেটে হত্যা করে আসামিরা। ১১ বছর পর এ রায়ে আমরা খুবই খুশি। তবে তাদের ফাঁসি হলে আমরা আরও বেশি খুশি হতাম।
পিপি অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং একজনের আমৃত্যু সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।