কুষ্টিয়ার খোকসায় সড়ক দুর্ঘটনায় রাতুল (১১) ও শাহেদ (১৫) নামের দুইজন নিহত হয়েছে। সম্পর্কে তারা আপন খালাতো ভাই। রোববার সন্ধ্যার দিকে কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের হাসিমপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রাতুল কুমারখালী বড়ইচারা গ্রামের রফিকের ছেলে ও শাহেদ খোকসার মোড়াগাছার আক্তার মালিথার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, রাতুল ও শাহিন নামের দুই শিশু কুষ্টিয়ার রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় রাজবাড়ী অভিমুখী ১৬ চাকার রডবোঝাই একটি ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রায় ১ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখার পর কুমারখালী, খোকসা ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাতুল তার খালাতো ভাই শাহিনের বাড়িতে বেড়াতে এসে দুর্ঘটনার শিকার হয়। পরবর্তীতে হাইওয়ে পুলিশ তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খোকসা, কুমারখালী ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
এছাড়াও কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার যাত্রী ছাউনী নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় ঈশ্বরদীর ছেলে আশিক হোসেন হযরত (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন এবং মালিহা, বৃষ্টি আহত হয়েছেন। নিহত আশিক হোসেন ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের জয়নগর পূর্ব পাড়া গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে। ভেড়ামারা থানার ওসি মজিবুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভেড়ামারা পাওয়ার হাউজ যাত্রী ছাউনি সংলগ্ন স্থানে দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা সকলকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিক হোসেনের মৃত্যু হয়। মালিহা ও বৃষ্টির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্ত্যবরত চিকিৎসক দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে প্রেরন করেন।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।