কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানার প্রতারণা করে ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দৌলতপুর থানায় করা মামলায় ৫ বছর কারাদন্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলামের আদালত সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যাংক কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এই আদেশ দেন।
দÐপ্রাপ্ত হলেন দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া কৈপাল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজগার আলীর ছেলে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মূখ্য আঞ্চলিক কার্যালয় কুষ্টিয়াতে ব্যাংক পরিদর্শক পদে চাকরিরত (বর্তমান বরখাস্ত) হাফিজুর রহমান (৫৬)।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি সময়কালে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক দৌলতপুর উপজেলার ডাংমরকা শাখায় কর্মরত থাকাবস্থায় ভুয়া নাম ঠিকানার ব্যক্তির নামে ঋণ ফাইল তৈরি করে তা অনুমোদন করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন এবং পরবর্তীতে কিস্তি আদায়সহ আদায়কৃত ব্যাংকের টাকা নির্ধারিত হিসেবের অনুকুলে জমা না দিয়ে তা আত্মসাত করেন ব্যাংক পরিদর্শক হাফিজুর।
এমন অভিযোগ পেয়ে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের তৎকালীন উপ-পরিচালক আব্দুল গাফফার বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৪ জুন আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে প্রায় সাড়ে ৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক সত্যতার ভিত্তিতে ৪০৯/৪৭৭(ক) পেনাল কোড এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের ওই কর্মকর্তা।
জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতে সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক কুষ্টিয়ার কৌশুলী অ্যাডভোকেট আল-মুজাহিদ হোসেন মিঠু জানান, আসামি হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদনে বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনীত অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে তিনটি ধারায় যথাক্রমে ৫ বছর, ৩ বছর এবং ৫ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড সহ ১০ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। উল্লেখ্য আসামির বিরুদ্ধে ধার্যকৃত সাজা একযোগে প্রযোজ্য হবে।