যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, কুষ্টিয়ার প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম তৈরী করা হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্রীড়া বান্ধব প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশব্যাপী ক্রীড়ার উন্নয়ন চান। ক্রীড়ার উন্নয়নে তিনি স্বপ্ন দেখে চলেছেন। আধুনিক ক্রীড়াঙ্গনের রূপকার শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল। কুষ্টিয়াবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা শেখ কামাল স্টেডিয়াম উদ্বোধন করতে পেরে নিজেকে ধন্যমনে করছি।
তিনি আরো বলেন, ফুটবলের উন্নয়নে আমরা পরিকল্পনা করেছি শুধু ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, জেলা পর্যায়ে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হবে। আমরা অবকাঠামো তৈরী করে দেব। আশারাখি জেলাক্রীড়া সংস্থা ধারাবাহিক প্রতিটি খেলার আয়োজনের মধ্যদিয়ে নতুন নতুন খেলোয়ার তৈরী করবে। কুষ্টিয়াবাসী সৌভাগ্যবান যে, মাহবুবউল আলম হানিফ এর মতো একজন জননেতা পেয়েছে। আমি মনেকরি করি, জননেতা হানিফ মানেই উন্নয়ন। বিএনপি-জামায়াতের হাতে আমার পিতা নিহত হওয়ার পর কুষ্টিয়াবাসী যে প্রতিবাদ করেছিল এবং প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিল এজন্য আমি কুষ্টিয়াবাসীর কাছে চিরঋণী। শেখ কামাল স্টেডিয়াম উদ্বোধন করা হলো। এ স্টেডিয়ামের আরও উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কুষ্টিয়া শেখ কামাল স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনকালে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কুষ্টিয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, কুষ্টিয়ার ক্রীড়াঙ্গনে উন্নয়নের যে হাওয়া লেগেছে তাতে করে কুষ্টিয়ার ক্রীড়াঙ্গন আরও এগিয়ে যাবে। কুষ্টিয়াতে একসময় অনেক কৃতিমান খেলোয়ার জন্ম নিয়েছিলেন। আমাদেরকে আবারও নতুন খেলোয়ারের সন্ধানে নামতে হবে। ক্রীড়াঙ্গনের হারানো ইতিহাস ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিয়মিত প্রতিটি খেলার আয়োজন অব্যাহত রাখতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দরিদ্র দেশ থেকে আজ আমরা মধ্যম আয়ের দেশে যাত্রা করেছি। দেশের ক্রীড়াঙ্গনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়ন অব্যহত রয়েছে। এভাবে উন্নয়নের ধারা অব্যহত থাকলে অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বিএনপি-জামায়াত আমলে যে কয়টি জঘন্যতম হত্যকান্ড ঘটেছে তার মধ্যে আমাদের প্রিয় নেতা আহসান উল্লাহ মাষ্টার হত্যাকান্ড অন্যতম। আজ আমরা গর্বিত যে সেই প্রিয় নেতার পুত্র জাহিদ আহসান রাসেল পিতার যোগ্যউত্তরসূরী হয়েছেন। তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। তাঁকে পেয়ে আজ আমরা কুষ্টিয়াবাসী ধন্য।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ.ক.ম. সরোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ এবং কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম। জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক খন্দকার সাদাত-উল আনাম পলাশের পরিচালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী এবং কুষ্টিয়া জেলা ও খুলনা বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মকবুল হোসেন লাবলু।
উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে দেশ এগ্রো কুষ্টিয়া আন্তঃ উপজেলা ফুটবল প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। এ প্রতিযোগিতায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন এবং দৌলতপুর উপজেলা রানার-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।