কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাছুমা খাতুন (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের নানাবাড়ি থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের আকামুদ্দিন শেখের নাতনী ও যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী। পরে পুলিশ মরদেহটির সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ছোটবেলায় মাছুমা খাতুনের মা মারা যায়। তখন থেকেই নানার বাড়িতে বসবাস করছে সে। সে মাথাব্যথাসহ নানান শারীরিক ও মানসিক রোগে ভুগছিল দীর্ঘদিন। প্রতিদিনের ন্যায় মাছুমা রাতে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যায়। কিন্তু সকালে তাঁর আর ঘুম না ভাঙায় নানা আকামুদ্দিন ডাকাডাকি করে। ডাকে সাড়া না দেওয়ায় নানা দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে ঘরের বাঁশের আড়ার সাথে নিজ ওড়নায় ঝুলছে মাছুমা। পরে স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে খবর দেওয়া হয় এবং মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহতের নানা আকামুদ্দিন বলেন, মেয়ে মরার পর থেকে নাতনী আমার বাড়িতে থাকত। সে দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল। হয়তো সেই অভিমানে আত্মহত্যা করেছে।
কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম বলেন, এক স্কুল ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে অভিমানে আত্মহত্যা করেছে।