কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের আস্তানগর গ্রামে চারজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় হওয়া একটি মামলায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় হস্তান্তর করা হয়।
র্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার চারজন হলেন আস্তানগর গ্রামের বাসিন্দা ও ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বিশ্বাস (৫২), তাঁর ছেলে শামীমুজ্জামান ওরফে সাগর (২৭), কেরামতের ভাই লিয়াকত আলী বিশ্বাস (৪৮) ও আবদুর রহিম বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলাম (২৫)।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ মে আস্তানগর গ্রামে চার খুনের ঘটনার পর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্যাপক অভিযানে নামে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিকে ঝাউদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।তাঁদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় সোপর্দ করা হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটায় র্যাব চার আসামিকে থানায় সোপর্দ করে। সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আজ বুধবার আসামিদের আদালতে নেওয়া হয়।
ঈদের আগের দিন ২ মে বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষে আস্তানগর গ্রামের কাশেম আলী (৫০), লাল্টু মÐল (৩০), রহিম মালিথা (৫০) ও মতিয়ার মন্ডল (৪০) নিহত হন। ঝাউদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কেরামত আলী বিশ্বাস এবং আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ফজলুর রহমানের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি হত্যা মামলা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি মামলায় ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান কেরামত আলী বিশ্বাসকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। অপর মামলায় ফজলুর রহমানের নেতৃত্বদানকারী একই ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মেহেদী হাসানও আসামি।