কুষ্টিয়ায় আলমসাধু চালক ইমান আলী (৪০) হত্যা মামলার চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার বিকালে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পয়ারি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মোশারফ ওরফে মুসার ছেলে সুজন (৩৮), একই উপজেলার ধলসা গ্রামের ইলা বক্স মৃধার ছেলে মিল্লিক হোসেন (৩৬), পয়ারি গ্রামের শফিউদ্দিনের ছেলে শিপন (৩৭) এবং মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে মান্নান ওরফে মানারুল (৩৬)। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি সুজন ও মিল্লিক হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি মানারুল ও শিপন জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ হন মিরপুর উপজেলার মাজিহাট গ্রামের মৃত মহির উদ্দিন মন্ডলের ছেলে আলমসাধু চালক ইমান আলী। পরদিন সকালে মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া ও পয়ারি গ্রামের মাঠে তার জবাই করা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১২ জানুয়ারি নিহতের বড় ভাই ইকমান আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মিরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ১০ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
এ মামলায় ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পরই দন্ড প্রাপ্ত আসামি সুজন ও মিল্লিককে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।