কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের বন্যাকবলিত স্কুলগুলো ছাড়াও জেলার প্রতিটি বিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে। উৎসবের আমেজে বিদ্যালয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা। কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে ব্যান্ড বাজিয়ে এবং ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেন শিক্ষকরা। সব স্কুলেই স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। আঙিনায় বন্যার পানির রেখেই দৌলতপুরে ৯টি বিদ্যালয় খোলা হয়েছে
আঙিনায় বন্যার পানি রেখেই দৌলতপুরে ৯টি বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও অনেক বলে জানিয়েছেন এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।গত মাসে আগাম বন্যায় তলিয়ে যায় দৌলতপুর উপজেলার নি¤œাঞ্চলের অন্তত ৩০টি বিদ্যালয়। এর মধ্যে বাকি স্কুলগুলোর পানি নেমে গেলেও দৌলতপুরে ৯টি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পানিতে তলিয়ে থাকায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী রোববার থেকে এই বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া নিয়ে দেখা দেয় অনিশ্চয়তা। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, বিদ্যালয় খোলা হবে। শিক্ষকরাও স্কুলে থাকবেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসার ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকছে না। তারা বিদ্যালয়ে আসতে পারলে শিক্ষকরা পাঠদান করবেন।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম জানন, তার বিদ্যালয়ে মোট সাড়ে ৪০০ শিক্ষার্থী আছে। বিদ্যালয় খোলার প্রথম দিনের পাশাপাশি রোববার অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়ার নির্ধারিত দিন ছিল। সে কারণে শিক্ষার্থী উপস্থিতি প্রায় সাড়ে ৩০০-এর কাছাকাছি ছিল বলেও জানান তিনি। রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘কাল থেকে রুটিন মোতাবেক ক্লাস নেয়া হবে। বিদ্যালয় থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও পাশের বড় খালটিতে অনেক পানি। এটি নৌকায় পার হয়ে দেড় কিলোমিটার ঘুরে বাচ্চাদের স্কুলে আসতে হচ্ছে।’
বাংলাবাজার খারিজাথাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম জানান, ‘বিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি দেখা গেছে। তবে এসএসসির ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে এসেছে। বন্যার পানি অনেকটাই নেমে গেছে। এখনও হাঁটুপানিতে চারপাশ তলিয়ে আছে। শিক্ষার্থীরা জুতা রেখে, প্যান্ট গুটিয়ে স্কুলে আসছে।’
চিলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষার্থী উপস্থিতি ৩০ শতাংশের মতো। বিদ্যালয়ে ক্লাস করার মতো পরিবেশ রয়েছে। কিন্ত আশপাশে পানি থাকায় দূর থেকে শিক্ষার্থীদের নৌকায় আসতে হচ্ছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মান্য করানো কঠিন হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
দৌলতপুরের বন্যাকবলিত স্কুলগুলো ছাড়া জেলার প্রতিটি বিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে। উৎসবের আমেজে বিদ্যালয়ে এসেছে শিক্ষার্থীরা।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24