৯ মাসের সন্তানকে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেও আত্মহননের পথ বেঁছে নিয়েছেন এক হতভাগী মা। বুধবার ভোরে শহরের থানাপাড়া বাঁধ এলাকা থেকে পুলিশ মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘরে মায়ের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় আর পাশে বিছানায় পড়ে ছিল ৯ মাসের শিশু সন্তান জিমের নিথর মরদেহ। নিহত আকলিমা খাতুন থানাপাড়া বাঁধ এলাকার অটো চালক রতনের স্ত্রী ও তার ছেলে জিম।
এলাকাবাসী জানান, কুষ্টিয়ার গড়াই নদীসংলগ্ন থানাপাড়ার পুরনো বাঁধে স্বামী রতনের বাড়িতে বসবাস করতেন আকলিমা খাতুন। স্বামীর বাড়ির পাশেই আকলিমা খাতুনের বাবা মাজেদের বাড়ি। স্বামীর বাড়িতে সংস্কার কাজ চলায় মঙ্গলবার রাতে বাবার বাড়িতে ৯ মাসের শিশু সন্তান জিমকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন আকলিমা। বুধবার ভোরে এলাকাবাসী আকলিমার ঘরে ঢুকে দেখতে পান আকলিমার লাশ ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে রয়েছে। পাশেই বিছানায় শিশু জিমের নিথর দেহ পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে মডেল থানা পুলিশ ওই বাড়ি থেকে মা ও শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। তবে ধারণা করা হচ্ছে আকলিমা তার শিশু ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর নিজেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, আকলিমা দীর্ঘদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ। তার চিকিৎসা চলছিল। তার স্বামীর প্রথম পক্ষের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার সময় আকলিমার স্বামী একই এলাকায় তার নিজ বাড়িতে ছিলেন। আকলিমার বাবা মাজেদ মোল্লা বলেন, আমাদের বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার মেয়ে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ নিয়ে গেছে।
স্থানীয় রেহেনা খাতুন বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে আকলিমা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। আমাদের ধারণা, প্রথমে শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে আকলিমা নিজে আত্মহত্যা করে।
কুষ্টিয়া মডেল থানা ওসি সাব্বিরুল আলম জানান, থানাপাড়া বাঁধের একটি বাড়ি থেকে মা ও শিশু সন্তানের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। তবে তদন্ত প্রতিবেদন পেলে সব কিছু নিশ্চিত হওয়া যাবে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।