কুষ্টিয়া জেলায় এবার ২৫২টি পূজামন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে, কুষ্টিয়া সদর থানা এলাকায় ৫৫টি, খোকসা থানায় ৬৩টি, কুমারখালীতে ৫৯টি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২৭টি, মিরপুর থানায় ২৩টি, ভেড়ামারায় ৯টি ও দৌলতপুরে ১৬টি পূজামন্ডপে। কুষ্টিয়া শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন পূজা মন্দির ঘুরে দেখা গেছে, ইতোমধ্যে অধিকাংশ পূজামন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র বাকি রয়েছে রং তুলির আঁচড়ের কাজ। মিরপুরের সদরপুর হালদার বাড়ি পূজা মন্দিরের প্রতিমা শিল্পী সাধন কুমার পাল বলেন, এ বছর ১০টি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। একটা প্রতিমা তৈরির জন্য পারিশ্রমিক হিসেবে ২৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে থাকি। আমরা ৩ জন একসঙ্গে কাজ করছি। একটি দুর্গা প্রতিমা তৈরি করতে কমপে ১০ দিন সময় লাগে। তবে একবারে একটি প্রতিমা তৈরি করা যায় না। কারণ কাদামাটি না শুকালে রং এর কাজ কারা যায় না। সারা বছর এই সময়টির জন্য অপোয় থাকি। বছরের অন্য সময় তেমন কাজ থাকে না। এই সময় ব্যস্ততা বেড়ে যায়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়লেও সে অনুপাতে প্রতিমা তৈরির মজুরি আনুপাতিক হারে বাড়েনি।
কুষ্টিয়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জয়দেব বিশ্বাস বলেন, এবার সম্পুর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক পূজা অনুষ্ঠিত হবে। কৃষ্ণ পদ হালদার বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতি বছরের মতো এবারও এ উৎসবটি জাকজমকভাবে উদযাপন করা হবে। তবে, করোনা সংক্রমণ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে উৎসবের পরিধি ছোট করতে হবে। আগামী ১১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মাধ্যমে দেবীর বোধন পূজার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসব শুরু হবে। ১২ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ১৩ অক্টোবর মহাঅষ্টমী, ১৪ অক্টোবর মহানবমী, ১৫ অক্টোবর বিজয় দশমীর মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শারদীয় দূর্গাপুজার সমাপ্তি ঘটবে। কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খাইরুল আলম বলেন, প্রতিটি পূজা মন্দিরে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। সেই সাথে স্বেচ্ছাসেবক টিম গঠন করে মন্দির এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।