দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলায় কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামের স্ত্রী ও করেজ শিক্ষিকা কামরুন্নাহারকে (৪৬) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক আশরাফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একই মামলায় তাঁর স্বামী রবিউল ইসলাম কারাভোগ করে অন্তর্বন্তীকালীন জামিনে আছেন। এর আগে সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন কামরুন্নাহারের আইনজীবী। বিচারক সে আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা দুদকের উপসহকারী পরিচালক নীল কমল পাল গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি বøকের বাসিন্দা কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৫২ লাখ ১৬ হাজার ৫৭৩ টাকার সম্পদ অর্জন করেন। দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩৬ লাখ ২ হাজার ৬৪১ টাকা সম্পদের ভিত্তিহীন বা মিথ্যা তথ্য প্রদান করেছেন তিনি। তাঁর স্ত্রী মোছা. কামরুন্নাহার অবৈধ অর্থকে বৈধ করার কাজে সহযোগিতা করেছেন, যা অপরাধ। কামরুন্নাহার কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষক।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, এই দম্পতি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা; মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২–এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারাসহ দন্ডবিধির ১০৯ ধারার অপরাধ করেছেন।
এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ আবু সায়িদ সাংবাদিকদের বলেন, এ মামলায় বিবাদী উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত সে আবেদনের শুনানি শেষে বিবাদী মোছা. কামরুন্নাহারকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে এবং ন্যায়বিচার চেয়ে তাঁরা উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান আইনজীবী আবু সায়িদ।
এর আগে মামলাটির প্রধান আসামি কুষ্টিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলামকে অন্তর্বন্তীকালীন জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। জামিন শেষে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠান। পরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হন। একইভাবে তাঁর স্ত্রী কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের শিক্ষক কামরুন্নাহারও জামিনে ছিলেন।