কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা মহাসড়ক বেহাল দশায় দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে। অপরদিকে জেলার অধিকাংশ সড়কের বেহাল দশায় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা সড়কটি একেবারেই অনুপযোগী এবং সেখানে প্রতিনিয়ত যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে,অধিকাংশ ড্রাম ট্রাকের চালকদের কোন লাইসেন্স নেই। চালকের পরিবর্তে হেলপার চালায় গাড়ী। বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালানোর জন্যই দুর্ঘটনা ঘটছে। অপরদিকে এসব ড্রাম ট্রাকে অতিরিক্ত বালু,পাথর বোঝাই থাকছে। এদিকে কুষ্টিয়ার অধিকাংশ সড়ক গুলোর করুণদশা। কুষ্টিয়া-রাজশাহী মহাসড়কের অনেকটাই চলাচলের উপযোগী। কিন্তু কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা সড়কটি একেবারেই অনুপযোগী এবং সেখানে প্রতিনিয়ত যানজট ও দুর্ঘটনা ঘটছে। মাত্র ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা। এ ছাড়া বড় বড় গর্ত ও ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে এ পথে প্রতিদিনই বিকল হচ্ছে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস। এ নিয়ে কুষ্টিয়ার সচেতন নাগরিকগণ জেলা প্রশাসক,সড়ক বিভাগে অবগত করিয়েছেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা সড়কের টেন্ডার হয়েছে,কাজও শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কাজ শুরু করতে না করতেই চাঁদার দাবীতে সেখানে অবস্থিত শ্রমিকদের অস্থায়ী আবাসস্থল ও ঠিকাদারের মালামাল রাখার সেডে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সেকারনে আপাতত কাজ বন্ধ আছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কের ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়। কুষ্টিয়া থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য শিক্ষক,শিক্ষার্র্থী, কর্মকর্তা,কর্মচারীরা যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু ২৫ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ১০ কিলোমিটারই চলাচলের অনুপযোগী। এ নিয়ে কয়েক দফা আন্দোলনও করেছেন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
কুষ্টিয়ায় আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে অবৈধ নছিমন,করিমনের দাপট। দিনে রাতে সব সময় সবগুলো সড়কে নিষিদ্ধ এ যান চলাচল দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দিনের বেলায় শহরের মধ্যে ট্রাকসহ ভাড়ী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও তা উপেক্ষা করতে দেখা গেছে। জেলার সচেতন নাগরিকরা কুষ্টিয়া সড়ক দুর্ঘটনা বেড়ে যাওযায় ও সড়কে শৃংখল না থাকায় তাঁরা উদ্বিগ্ন।