নিরাপত্তা জোরদারসহ নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনে নেমেছেন।
রবিবার (১৬ জানুয়ারী) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সকল ধরণের ক্লাশ বর্জন করে কলেজ ক্যাম্পাস ও অধ্যক্ষের রুমের সামনে ঘন্টাব্যাপী আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে প্রথম দিনের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন তারা।
দাবীগুলো হলো, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা, ক্যাম্পাস থেকে সকল বাণিজ্যিক ব্যানার ও বিলবোর্ড অপসারণ, লেডিস ও বয়েজ হোস্টেল এর নামকরণ, সকল ছাত্র হলে ইলেকট্রিক্যাল বোর্ড স্থাপন, কলেজ ও হোস্টেল ক্যান্টিনের ডেকোরেশন, লেডিস হোস্টেলের ক্যান্টিনের সংস্কার, স্পোর্টস উইক আয়োজন ও হোস্টেলের রিডিংরুম সুসজ্জিতকরন।
ইনটার্ন চিকিৎসক অনুপম দত্ত বলেন, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার, কলেজ ক্যান্টিন ও হোস্টেল ক্যান্টিন ডেকোরেশন, লেডিস হোস্টেলের র্যান্টিন সংস্কারসহ দীর্ঘদিন ধরে ৯ দফা দাবি কলেজ অধ্যক্ষের কাছে উপস্থাপন করার পরও এর কোন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এ কারণেই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছে। দ্রুত এসব দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মেডিকেল কলেজের ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী নাঈমুর রশিদ বলেন, নিরাপত্তাসহ নানা সমস্যার কথা কর্তৃপক্ষকে জানালেও কর্ণপাত না করায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি। কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বাণিজ্যিক ব্যানার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের জন্য চরম লজ্জাজনক ও হতাশাজনক। এসব ব্যানার অপসারণের জন্যও দাবি তোলা হয়। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই ক্লাশ বর্জন করে আন্দোলনে নেমিছি। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
কলেজের এম-৫৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম জানান, ময়মনসিংহ মেডিকেল দেশের প্রথম সারির মেডিকেলের মধ্যে অন্যতম। এই ক্যাম্পাসটি আমাদের বাড়ির মতো। কিন্তু সেখানে আমাদের নিজের ইচ্ছা মতো চলতে পারি না। সন্ধ্যা হলেই বহিরাগতরা আড্ডায় মেতে উঠে। এছাড়া হোস্টেল ও কলেজের ক্যান্টিনের খাবারগুলো মানসম্মত না। আমরা আশা করছি প্রশাসন এগুলো দ্রুত সমাধান করতে।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসব দাবিতে হঠাৎ করে আন্দোলনে নেমেছে তা কোনদিন আগে বলেনি। বহিরাগত বলতে আমার আপনার এবং শিক্ষার্থীদের স্বজনরাই আসে। তারপরেও যেহেতু ক্লাশ বর্জন করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে সেহেতু শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে এবং তাদেরকে ক্লাশে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।