উত্তর কোরিয়া মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে যে, প্রশান্ত মহাসাগরে তাদের পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় গুলি করে ভূপাতিত করা হলে এটি হবে ‘সুস্পষ্ট যুদ্ধ ঘোষণা’। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া পারমাণু অস্ত্রধারী পিয়ংইয়ং-এর ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে যৌথ মহড়া সহ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে। পিয়ংইয়ং সাম্প্রতিক মাসগুলোতে নিষিদ্ধ অস্ত্র পরীক্ষার মহড়া পরিচালনা করেছে। খবর এএফপি’র।
যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়া নিয়ে তুমুল সমালোচনা করে ও আগ্রাসনের মহড়া বলে বর্ণনা করে উত্তর কোরিয়া বলেছে, তার পারমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিগুলো কেবলমাত্র আত্মরক্ষার জন্য। উত্তর কোরিয় নেতা কিম জং উনের ক্ষমতাধর বোন কিম ইয়ো জং এক বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার অফিসিয়াল নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘আমাদের কৌশলগত অস্ত্র পরীক্ষার বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার মতো সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখানো হলে তা ‘গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়ার (ডিপিআরকে)’ বিরুদ্ধে যুদ্ধের একটি স্পষ্ট ঘোষণা হিসেবে বিবেচিত হবে।’
‘কোরিয়ান সেন্টাল নিউজ এজেন্সি’ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে প্রশান্ত মহাসাগর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা জাপানের ডোমিনিয়ামের অন্তর্ভূক্ত নয় উল্লেখ করে বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া যেকোনো সময় যথাযথ, দ্রুত ও অপ্রতিরোধ্য পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।’ এদিকে এই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের বৃহত্তম যৌথ মহড়া করবে। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার একটি পৃথক বিবৃতিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ উত্তেজনা বাড়ানোর অভিযোগ করেছে।
শান্ত/অননিউজ