খাগড়াছড়িতে বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের মার্চ ফর আইডেন্টিটি

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি।।

পার্বত্য চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি, রাষ্ট্র সংস্কারে আদিবাসীদের মূল্যায়ন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, স্ব-স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দাবি এবং ৮ দফা দাবীতে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

আজ বুধবার সকালে সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন হাজার হাজার ছাত্র জনতার স্রোত নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংঘাত ও বৈষম্যবিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন পক্ষে লাব্রিচাই মারমা ও জনোত্তম চাকমা।

স্মারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের ১ম ও ২য় শ্রেণীর সরকারি চাকরিসহ সকল গ্রেডের চাকরিতে ৫% আদিবাসী কোটা পুনর্বহাল করতে হবে। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে এবং এনসিটিবি’র পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও সাহিত্য ইত্যাদি বিষয়বস্তু অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি” অনুযায়ী স্থানীয় ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে জেলা পরিষদ নির্বাচন করতে হবে এবং গত বিশ বছরে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দুর্নীতি তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি” অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি সমস্যার সমাধান করতে হবে এবং ১৯০০ সালের শাসনবিধি বহাল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টি পূর্বক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং জেলা পরিষদের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিন পার্বত্য জেলার ক্রীড়া সংস্থাগুলোতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাহাড়িদের মধ্য থেকে দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়াসহ ক্রীড়াঙ্গনে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়তে ক্রীড়াঙ্গনকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক সংকট নিরসনের লক্ষ্যে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ প্রদান এবং প্রাথমিক শিক্ষা স্তরে স্ব-স্ব মাতৃভাষায় শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার মানবন্টনে মাতৃভাষা পারদর্শীতা যাচাই করার জন্য একটি অংশ যুক্ত করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে সরকারি বা বেসরকারি কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীর “পানিশমেন্ট জোন” হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং চাকরির ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থানীয়দের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

আরো দেখুনঃ