পাইকারিতে কমলেও খুচরা পর্যায়ে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। নতুন দামের তেল বাজারে না আসায় দাম কমেনি বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। এদিকে, নজরদারী আরও বাড়ানোর দাবি ক্রেতাদের।
রোববার সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বোতলজাত লিটার প্রতি ১৮৯ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ১৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সঙ্গে পাম তেলের দাম লিটারে ২ টাকা কমিয়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
সোমবার থেকেই নতুন দাম কার্যকর হওয়ার কথা। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের হাতে এখন যা তেল আছে, তা বাড়তি দামে কেনা। ফলে এখনও আগের দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, দাম কমেছে এটা শুনেছি, টিভির মাধ্যমে দেখেছি। কিন্তু এর বাইরে কোনো নির্দেশনা পাইনি। প্রত্যেক কোম্পানি আগের মালগুলো আগের রেটেই বিক্রি করতাছে। দাম কমেছি ঠিক কিন্তু সেটা এখনও বাজারে আসেনি। পুরান রেটেই এখন বিক্রি হচ্ছে।
আর পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি ঘোষণার আগেই কোম্পানিগুলো তেলের দাম কমিয়েছে। ফলে তারাও কম দামে তেল বিক্রি করছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলেন, “লিটারে ১০ টাকা কম আসলে এক সপ্তাহ আগেই কার্যকর হয়েছে। পাইকারিতে আমরা আগে থেকেই কম দামে বিক্রি করছি। ঘোষণা দিয়েছে গতকাল।”
এদিকে, খুচরা পর্যায়ে নতুন দাম কার্যকরে সরকারের নজরদারি আরও বাড়ানোর দাবি সাধারণ মানুষের।
ক্রেতারা জানান, বাড়ানোর সময়ে ঠিকই খবরের আগে বাজারে বেড়ে যায়। কিন্তু কমানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কমে না। জরিমানা করা হলে ঠিকই তেলের দাম কমতো।
ঈদের আগে তেলের দাম আরেক ধাপ কমানো যায় কিনা, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এফআর/অননিউজ