গত সপ্তাহে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর খেরসনের বেশ কিছু অংশ পুনর্দখলে নেয় ইউক্রেনের বাহিনী। সেখানে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘তদন্তকারীরা এরই মধ্যে রাশিয়ার চার শতাধিক যুদ্ধাপরাধ নথিভুক্ত করেছেন। মৃত বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
রাশিয়ার সেনারা বন্দরনগরী খেরসনে চার শর বেশি যুদ্ধাপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
স্থানীয় সময় রোববার রাতে ভিডিওবার্তায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
গত সপ্তাহে রুশ সেনা প্রত্যাহারের পর খেরসনের বেশ কিছু অংশ পুনর্দখলে নেয় ইউক্রেনের বাহিনী। সেখানে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ করে জেলেনস্কি বলেন, ‘তদন্তকারীরা এরই মধ্যে রাশিয়ার চার শতাধিক যুদ্ধাপরাধ নথিভুক্ত করেছেন। মৃত বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘(খেরসনে) রাশিয়ার সেনাবাহিনী একই বর্বরতা রেখে গেছে, যা তারা দেশের অন্য অঞ্চলগুলোতেও করেছে।’
জেলেনস্কির এ বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। অন্যদিকে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সেনারা ইচ্ছা করে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তু বানায়নি।
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ সেনা অভিযান শুরুর পর ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে গণকবর পাওয়া গেছে। কিয়েভের কাছে খারকিভ ও বুচায় বেসামরিক নাগরিকদের মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেছে ইউক্রেন, যার সঙ্গে দ্বিমত করেনি জাতিসংঘ।
চলতি বছরের অক্টোবরে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন একটি কমিশন বলেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধ হয়েছে। যুদ্ধের শুরুর দিককার দিনগুলোতে এ ধরনের অপরাধের বড় অংশের দায় রাশিয়ার।