গাজায় ক্ষুধার্ত ৭৪৩ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
অনলাইন ডেস্ক।।

গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহ ধরে খাদ্যসামগ্রীর জন্য হুমকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে থাকা গাজার একাধিক এলাকায় কমপক্ষে ৭৪৩ জন গৃহবন্দী প্যালেস্টিনীয় নিহত হয়েছেন এবং আরও প্রায় ৪,৮৯১ জন আহত হয়েছেন, যারা সাহায্য নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ।
এই হতাহতের ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। নিউট ওয়িন্ডোর Al Jazeera’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃতের সংখ্যা শুধুমাত্র খাদ্যবণ্টন কেন্দ্রেই নয়; এসব কেন্দ্রেই কয়েকবার পেইন্টারি ঘটনা ঘটেছে যেখানে অনেকে মানুষ নিরাপদ খাবার পেতে গিয়ে গুলির মুখে পড়ে ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, গাজার প্রায় দুই লাখ মানুষ দীর্ঘক্ষণ ধরা খাবারের সংকটে দিন অতিবাহিত করছেন। তাঁদের একমাত্র আত্মরক্ষা প্রক্রিয়া—জাতিসংঘের মাধ্যমে নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত প্রতিষ্ঠান ‘Gaza Humanitarian Foundation’-এর (GHF) মাধ্যমে সাহায্য সংগ্রহ—তাতেই প্রাণহানি ঘটছে । GHF-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মী ও সামরিক কোন্ডাক্টর, যা প্রমাণিতভাবে সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এই ঘটনায় পরোক্ষভাবে ইসরায়েল ও GHF-কে দোষী সাব্যস্ত করেছে, বলছে এটি “মানবতাবিরোধী যুদ্ধের অংশ” হতে পারে । পাশাপাশি জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানও এ পরিস্থিতিকে “যুদ্ধাপরাধ” হিসেবে উল্লেখ করেছেন ।
অতিমাত্রায় খাবার সংকটে বহু গরিব পরিবারের অস্থায়ী বিশ্রামক্ষণ—খাদ্যের জন্য অপেক্ষার সময়—গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের এক চিত্র ফুটে উঠেছে। একটি গাজার বাসিন্দা জানিয়েছেন, “আমাদের কাছে তিন দিন থেকেই কিছু খাওয়ার উপায় ছিল না, তাই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সাহায্যের লাইনে দাঁড়িয়েছি” ।
বিশ্লেষকদের মতে, গাজার ব্লকেড ও সহিংসতার এই ভয়াবহ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহেই খাদ্যঘাটতির পরিস্থিতি মানবিক সংশয়াতঙ্কে ফেলা হতে পারে। খাদ্য ও চিকিৎসাসহ মৌলিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য দ্রুত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ জরুরি।
সূত্র:বিডি২৪লাইভ
আ/অননিউজ২৪