ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর আবারও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় নতুন করে আরও ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এমনটাই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
পবিত্র রমজান মাসকে কেন্দ্র করে গাজা উপত্যকায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ব্যর্থ হয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা। সেখানে এখনো তুমুল লড়াই অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের বিধ্বস্ত ভূখণ্ডটিতে আরও বেশি করে ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আর এই ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপরই নতুন করে হামলা চালালো দখলদার ইসরায়েল।
হামাস বলেছে, গাজা শহরের ত্রাণ নিতে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর ইসরায়েল বিমান হামলা করেছে, যাতে অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার পুরো অংশ এখন শতভাগ ‘গুরুতরভাবে খাদ্য অনিরাপদ।’ ইতিহাসে এমন উদাহরণ প্রথম।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। হামলায় ১২শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়। জিম্মি করে নিয়ে যায় আরও ২৪২ জনকে। ওই দিন থেকে পাল্টা আক্রমণে তীব্র আক্রোশে গাজার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার দেশটি। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি হামলায় পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন ৩১ হাজার ৮১৯ ফিলিস্তিনি। আর আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৯৩৪ জন। ঘরবাড়ি হারিয়ে গাজার বাসিন্দারা প্রায় সবাই উদ্বাস্তু হয়ে গেছে।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর এমন আচরণে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধ বন্ধের বদলে রোববার মিশরের সীমান্তবর্তী রাফা শহরে স্থল অভিযানের হুমকি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। যেখানে হামলার মুখে গাজার অন্যান্য এলাকা থেকে প্রায় ১০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।
এফআর/অননিউজ