গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫৮,০০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা অর্ধেকেরও বেশি। প্রতিদিন নতুন করে প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য নিরীহ মানুষ।
শুধু শনিবার (১৩ জুলাই) একদিনেই ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলায় কমপক্ষে ৯৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে নুসাইরাত এলাকায়, যেখানে পানি সংগ্রহ করতে যাওয়া শিশু ও নারীদের লক্ষ্য করে চালানো হামলায় প্রাণ হারায় ১০ জন, যাদের মধ্যে ৬ জন ছিল শিশু।
এদিকে, অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনার আশাব্যঞ্জক কোনও অগ্রগতি হয়নি। কাতারের রাজধানী দোহায় যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় চলমান আলোচনা কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে। মূল বাধা হিসেবে উঠে এসেছে—
গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের প্রশ্ন,
বন্দী বিনিময়ের ধাপ
যুদ্ধ পরবর্তী গাজা শাসন কাঠামো।
একই সঙ্গে গাজায় চলমান মানবিক সংকট আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। জাতিসংঘের অধীনস্থ সংস্থাগুলো, যেমন UNICEF, WHO, এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) সতর্ক করেছে, পর্যাপ্ত জ্বালানি না থাকায় শিগগিরই বন্ধ হয়ে যেতে পারে হাসপাতাল, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, পয়ঃনিষ্কাশন এবং খাদ্য ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, যুদ্ধাপরাধের সম্ভাব্য প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে এবং বহু হামলায় অসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এমন এক সময় এই চিত্র সামনে এলো যখন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গাজার জনগণের জন্য স্থায়ী অস্ত্রবিরতি ও মানবিক করিডোরের আহ্বান জোরদার হচ্ছে। তবে মাটিতে বাস্তবতা হলো—গাজার আকাশ এখনও বারুদের গন্ধে ভারী।
সূত্র:বিডি২৪লাইভ
ই/অননিউজ ২৪