গাজার উত্তরাঞ্চলে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় নতুন করে আরও ১৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আবারও সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর প্রথমবারের মতো গাজার উত্তরে আল-আওদা ও কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সোমবার (৪ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স' এ এক পোস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস জানান, গত বছর অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর এই প্রথম সংস্থাটি উত্তর গাজার আল-আওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শনের ফলে মর্মান্তিক কিছু তথ্য বের হয়ে এসেছে।
তিনি জানান, অবরুদ্ধ গাজায় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়েছে। জ্বালানি ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাণহানির শংকার মধ্যে রয়েছে শিশুরা। এ অঞ্চলে ৩ লাখেরও বেশি মানুষ খুবই অল্প খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিয়ে জীবনধারণ করছে বলেও জানান তিনি।
তেদ্রোস লিখেছেন, খাবারের অভাবে শিশুরা মারা যাচ্ছে এবং গাজার শিশুরা ‘গুরুতর মাত্রায় অপুষ্টির’ শিকার হয়েছে। হাসপাতাল ভবনগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রোববার জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে অন্তত ১৫ শিশু মারা গেছে। ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা সোমবার জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরের একটি হাসপাতালে রোববার ১৬তম শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, গাজার উত্তরে দুই বছরের কম বয়সী প্রতি ৬ শিশুর মধ্যে একটি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেছেন, গাজা উপত্যকাজুড়ে কমপক্ষে ৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ, যা ভূখণ্ডটির মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ বিপর্যয়কর মাত্রার খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলের আক্রমণের ফলে এখন পর্যন্ত ৩০ হাজার ৫৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭১ হাজার ৯৮০ জন।
এফআর/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com