গাজীপুর শহিদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অপহৃত শিশু লাবিব (১) কে উদ্ধার করে জিএমপি সদর থানা পুলিশ। এসময় অপহরণকারী ও ক্রয়ের জন্য অপেক্ষমান বেদে নারীসহ ২জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার বাউশী দশাদার গ্রামের সুলতান মিয়ার স্ত্রী মোসাঃ সুলতানা খাতুন(২৬), বর্তমানে সে জিএমপি সদর থানাধীন ভোড়া (চৌকিদার বাড়ী)র সিদ্দিকুর রহমানের ভাড়াটিয়া। অপরজন ভোলা জেলা মনপুরা থানা হাজীরহাট গ্রামের আনসার মীর এর মেয়ে মোসাঃ ফারজানা আক্তার (১৯)। সে অপহৃত শিশুকে ক্রয়ের জন্য অপহরণকারীর বাসায় অপেক্ষমান ছিল।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জিএমপি সদর থানার এসআই উৎপল দাসের নেতৃত্বে পুলিশ একটি চৌকস টিম হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে প্রথমে পুবাইল থানা এলাকায় এবং সর্বশেষ সদর থানাধীন ভোড়া (চৌকিদার বাড়ী) এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে শিশু লাবিবকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় অপহৃত শিশুকে ক্রয়ের জন্য অপেক্ষা মান এক বেদে নারীসহ ২জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপহৃত শিশু মা হামিদা আক্তার (২২) জানান, আমার বড় ছেলে হাবিব (৭) এবং ছোট ছেলে লাবিব (১)কে নিয়ে সদর থানাধীন মাঝিরখোলা এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করি। এরই মাঝে গত দেড় মাস আগে আমার বড় ছেলের হাটুতে ব্যাথা পাওয়ায় ছেলেকে নিয়ে সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হই। ভর্তি থাকার একপর্যায়ে গত ১ নভেম্বর বিকালে আমার বড় ছেলেকে দেখাশুনা করাকালে বোরকা পরিহিত অজ্ঞাতনামা ঐ মহিলা কৌশলে আমার সাথে মিশে একপর্যায়ে সে আমাকে অজ্ঞান করে আমার ছোট ছেলে লাবিবকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে জিএমপি সদর থানার এসআই উৎপল দাস জানান, শিশু অপহরণের ঘটনাটি জানার পর থেকে সদর থানা পুলিশের কয়েকটি টিম বিভিন্নভাবে শিশুটিকে উদ্ধারে কার্যক্রম করতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা একটি ছায়া অভিযান পরিচালনা করি এবং শিশুটি অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপরহণকারী মোসাঃ সুলতানা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে অপহৃত শিশু লাবিবকে ক্রয়ের জন্য তারই বান্ধবী মোসাঃ ফারজানা আক্তার ঢাকা থেকে এসে তার বাসায় রাত্রি যাপন করে এবং সকাল হলেই সে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যেত। এবিষয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী/২০০৩ এর ৭ ধারায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়।
এ বিষয়ে অপরণকারীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশ।
এফআর/অননিউজ