গুজরাটে ঝুলন্ত সেতু ভাঙায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪১
অনলাইন ডেস্ক।।
গুজরাটের মোরবি জেলার মচ্ছু নদীর উপর ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলছে। সোমবার এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঝুলন্ত সেতু ভেঙে পড়ে আহতও হয়েছেন বহু মানুষ।
এই সেতু জনসাধারণের জন্য চালু করার আগে প্রশাসনের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত নেওয়া হয়নি। সেতুর ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেওয়া হয়নি। বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসাবে কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতিকে দায়ী করছেন কেউ কেউ।
রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ ভেঙে পড়ে ব্রিটিশ আমলের তৈরি শতাব্দী প্রাচীন ঝুলন্ত সেতুটি।
ঘটনা তদন্তে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংস্কারের পর দিনকয়েক আগেই চালু করা হয়েছিল গুজরাটের ঐতিহাসিক ঝুলন্ত সেতুটি। গুজরাটের আহমেদাবাদ থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝুলন্ত সেতুটিতে দুর্ঘটনার সময় পাঁচ শতাধিক লোক ছিল।
জানা গেছে, সেতুটি সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ‘ওরেভা’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থাকে। সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর তা খুলে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, অত্যাধিক ওজন নিতে না পারায় ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। কোটি টাকা খরচ করে তা জনতার জন্য খুলে দেওয়া হয়। খুলে দেওয়ার ছ’দিনের মাথাতেই এই বিপর্যয় ঘটল।
সেতুটি খুলে দেওয়ার আনন্দে কেউ কেউ ছোটাছুটি করছেন, আবার কেউ লাফালাফিও করছেন। ফলে দুলছিল সেতুটি। এমন একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।
দেশটির পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে।
দুর্ঘটনায় শিশু ও নারীদের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। পানিতে ডুবে মৃত্যুর আশঙ্কা করছে পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। জানা গেছে, শুরুতে স্থানীয়রাই উদ্ধার কাজে হাত লাগান। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
গুজরাট পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) আশিষ ভাটিয়া বলেন, উদ্ধারকাজ চলছে এবং অনেক মানুষকে উদ্ধার করে সুরক্ষিত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বর্তমানে গুজরাট সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার মধ্যেই ঘটে গেলো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য দুই লাখ রুপি ও প্রত্যেক আহত ব্যক্তিকে ৫০ হাজার রুপি করে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে।
মর্মান্তিক এ ঘটনার জন্য ক্ষমতাসীন দল বিজেপিকে দায়ী করেছে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলো। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস।