বরিশাল সদর উপজেলায় গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক ভণ্ড ফকির ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে ভণ্ড ফকির ও তার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর বিভিন্নস্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, বরিশাল সদর উপজেলার কর্নকাঠি গ্রামের আশ্রাব আলী হাওলাদারের ছেলে ফকির হেলাল হাওলাদার (৪৯) ও তার সহযোগী বরিশাল নগরীর বেলতলা এলাকার ইউনুস মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া এবং কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার লাল মীরার ছেলে জাফর মীরা (৪৬)।
পুলিশ জানায়, ফকির হেলাল কর্নকাঠি এলাকার আমিরুল ইসলামের বাগান বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করতেন। তবে নিজেকে ফকির দাবি করে ঝাড়-ফুক দেন। কিন্তু ভণ্ড ফকিরের সহযোগী মীরা ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার প্রলোভন দেখায়। এ কারণে ভুক্তভোগী নারীকে আসনে বসার প্রস্তাব দেয়। এ ছাড়াও গুপ্তধন পেলে নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। পরে প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে গত ১৫ জুলাই বিকেলে ভুক্তভোগী নারীকে মীরা ওই বাগান বাড়িতে নিয়ে যান।
এদিকে একই দিন গভীর রাতে ভুক্তভোগী নারীকে আসনে বসিয়ে নানা তন্ত্রমন্ত্র ঝাড় ফুকের নাম করে ভণ্ড ফকির হেলাল ও মীরা সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে গত ১৬ জুলাই ভোরে ভুক্তভোগী নারীকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনার পরদিন গত ১৭ জুলাই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে বন্দর থানায় ধর্ষণ, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল জানান, ভুক্তভোগী নারীর মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত হেলাল জানান, লোকে তাকে ফকির উপাধি দিয়েছে। ঝাড়ফুঁক দিলে লোকজন ভালো হয়েছে বলে দাবি করে তার কাছে আসতো। কিন্তু কোনো তন্ত্র-মন্ত্রই হেলাল জানে না। একই সঙ্গে আসামিরা ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেছে।
এফআর/অননিউজ