রাজধানীর গুলশানে আগুন লাগা ভবনের সাততলা থেকে লাফিয়ে পড়ে মারা যাওয়া যুবকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। নিহতের নাম আনোয়ার হোসেন (৩০)। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার দৌলতখানের দিদারুল্লা গ্রামে। বাবার নাম মো. নুর ইসলাম। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়।
নিহত আনোয়ার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ২টার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে আনোয়ারের মরদেহ শনাক্ত করেন তার ছোট ভাই জুলহাস হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের (নিহত) স্ত্রী আমেনা বেগম অন্তঃসত্ত্বা। আগুন লাগার পর ভাই ওই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়েছেন বলে জানতে পারি। দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে তার ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেছি। তিনি বাবুর্চির কাজ করতেন।’
এদিকে, বিসিবির পরিচালক ফাহিম সিনহার স্ত্রী সায়মা রহমান সিনহা ১২তলার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে সুইমিংপুলে পড়েন। তিনি আহত হয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। সায়মা রহমান সিনহাসহ তিনজন শেখ হাসিনা বার্নে চিকিৎসাধীন।
রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিটের দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের বহুতল ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।
পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারে যোগ দেন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরাও।
দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন লাগা ভবনের কয়েকটি ফ্লোর থেকে নারী শিশুসহ ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন ফায়ার ফাইটাররা।