বরগুনার পাথরঘাটায় ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় কারিমা ওরফে ইভা (২৪) নামে এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পশ্চিম ঘুটাবাছা গ্রামের ওই গৃহবধূর বাবা জামাল মাঝির বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কারিমা ওরফে ইভা একই ইউনিয়নের পশ্চিম ঘুটাবাছা গ্রামের জামাল মাঝির মেয়ে এবং পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হোগলাপাশা গ্রামের মোস্তফা সরদারের ছেলে সোহেল রানার স্ত্রী।
জানা যায়, রোববার রাত ১১টার দিকে খাবার খেয়ে ঘরের সবাই নিজ নিজ কক্ষে ঘুমাতে যায়। এর কিছুক্ষণ পর কারিমা স্বামীর বিছানা থেকে মোবাইল নিয়ে তার মা খাদিজা বেগমের কক্ষে যায়। এ সময় সোহেল ঘুমিয়ে পড়েন। পরে সোমবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে স্বামী সোহেল রানা স্ত্রী কারিমাকে বিছানায় দেখতে না পেয়ে শাশুড়ি খাদিজার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে খোঁজাখুঁজি করে ঘরের সামনের বারান্দার আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
স্বামী সোহেল রানা বলেন, ‘আমি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসছি। আজ সকালে ঢাকায় যাওয়ার কথা। ভোর রাতে বাসের সুপারভাইজার ফোন দিয়ে ঘুম থেকে উঠানোর পরে আমার স্ত্রী ইভাকে পাশে না দেখে শাশুড়িকে ডাক দিলে তিনিও জানেননা বলে জানান। পরে খোঁজাখুজির পরে ঘরের সামনের বারান্দায় ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই তাকে।’
সোহেল রানা আরও বলেন, ‘এক সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় যাই। শাশুড়ির ব্যবহৃত স্মার্টফোনের লক খুলতে কিছুক্ষণ পর আমার পাশ থেকে উঠে কারিমা তার মায়ের কক্ষে গিয়ে আর আসেনি। আমার সন্দেহ হয় মা-মেয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শাশুড়ি আমার স্ত্রীকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে। যেভাবে পা চেয়ারের সঙ্গে ছিলো তাতে আত্মহত্যা নয় এটি হত্যা।’
কারিমার মা খাদিজার বেগম বলেন, ‘জামাই আমার মেয়েকে খুন করে ঝুলিয়ে রেখেছে। আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, ‘প্রাথমিক তথ্য পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছেন। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
সূত্র : আরটিভি অনলাইন
এফআর/অননিউজ