গত ৬ অক্টোবর সকালে পঞ্চগড়ে পুকুর থেকে রোকেয়া (২৫) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্ররণ করা হয়। তবে একই দিন স্বামী রশাদ হোসেনকে (৩৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হাজতে নেয়া হলেও ওই গৃহবধূর বাবার দায়ের করা মামলায় আদালত এরশাদকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে পঞ্চগড় মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক হুমায়ূন কবির এই আদেশ দেন। এর আগে একই দিন সকালে ওই গৃহবধূর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে স্বামী এরশাদসহ তার ছয় ভাই ও এক বোনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন বলে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, হত্যা মামলা দায়েরের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক এরশাদকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নেয়া হলে শুনানি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মৃত্যুটি রহস্যজনক। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণটি বিস্তারিত জানা যাবে।
ওই গৃহবধূর বাবা রবিউল ইসলাম জানান, আমার মেয়ে কখনোই আত্মহত্যা করতে পারে না। সে শিক্ষিত। তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পুকুরে ফেলে দিয়েছে। আমি তার সঠিক বিচার চাই। এর আগে ঘটনার দিন ভোরে এরশাদ ফোন করে আমাকে বলে, আপনার মেয়ে রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে ঘটনার দিন রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৬ অক্টোবর) ভোরে জোতহাসনা গ্রামে বাড়ির পাশের পুকুরে রোকেয়া মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে থানা পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্ররণ করে। এদিকে একই দিনে নিহতের বাবার বাড়ির অভিযোগের প্রক্ষিতে স্বামী এরশাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হাজতে নেয়া হয়।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।