কুমিল্লায় গত পাচ দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের পানিতে গোমতী নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তলিয়ে গেছে নদীর চরের ভেতরের বাড়িঘর। এতে হাজার হাজার মানুষ দূর্ভোগে পড়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত বিপদসীমা ৫৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। এদিকে গোমতী নদীর তীরের বেশ কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। ভারতের ত্রীপুরায় ভারী বর্ষন অব্যাহত থাকায় বেড়েই চলেছে নদীর পানি। গোমতী নদীর আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া,দেবিদ্বার, মুরাদনগর উপজেলার অন্তত ২৫ টি স্পটে ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র।
অপরদিকে জেলার চৌদ্দগ্রাম ও নাঙ্গলকোট উপজেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। বাড়ি ঘর, মাছের ঘের ও বিভিন্ন প্রজেক্টে পানি ঢুকেছে।
প্রবল বর্ষনে কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন জায়গায় প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গেল কয়েকদিন ধরে কুমিল্লায় ভারী বর্ষনের কারনে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর চকবাজার, কান্দিরপাড়, সালাউদ্দিন মোড়, চর্থা, ঠাকুরপাড়া, ডিসি রোড, বাগিচগাঁওসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে শত শত বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে। বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। আতংকে নির্ঘম রাত পার করছে গোমতির পাড়ের বাসিন্দারা।
প্রশাসন থেকে মাইকিং করে বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যেতে বলা হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকার মানুষকে আসবাব নিয়ে অন্যত্র যেতে দেখা গেছে।
গোমতীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় কুমিল্লা সদর উপজেলার কটকবাজার থেকে দাউদকান্দি পর্যন্ত ৮৫ কিলোমিটার গোমতী বাঁধের দুর্বল অংশ ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গোমতির বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো স্থানীয়রা বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করতে দেখা যায়।
এছাড়া কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বন্যার পানিতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কিছু অংশে তলিয়ে যায়, এতে যান চলাচলের বিঘ্ন হচ্ছে।