আল-আমিন কিবরিয়া।।
শ্রাবণের প্রচন্ড খরতাপের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ কুমিল্লার দেবীদ্বারের জনজীবন। দিনে-রাতে গড় দশ বারো ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ায় এই উপজেলার শহর থেকে গ্রামের লোকজন বেশি ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। এর প্রভাব পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যেও।
রোববার রাত আটটার দিকে দেবীদ্বারের প্রাণকেন্দ্র নিউ মার্কেট, পুরান বাজার, ফুলগাছতলাসহ উপজেলা পরিষদের আশপাশের স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল না।
এসব এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কিছু সংখ্যক দোকান-পাটে চলছে ডিজেল-অকটেনচালিত জেনারেটর। আবার কোথাও মোমবাতি বা চার্জ লাইট।
ব্যবসায়ী চার-পাঁচ জনের সঙ্গে কথা হয়েছে বেচাবিক্রির ব্যাপারে। তারা জানায়, প্রচন্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিং। এতে দোকানে মানুষজনের উপস্থিতিও কম। তাই বেচাবিক্রিতেও ভাটা পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। গরম ও লোডশেডিংয়ে বেশি কষ্টে আছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
দেবীদ্বার পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার এই উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল প্রায় ২৩ মেগাওয়াট। এই চাহিদার বিপরীতে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়া গেছে। কম সরবরাহ থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং করতে হচ্ছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে এই অফিসের এক কর্মকর্তা জানায়, সরবরাহ কম হওয়ায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। এ সঙ্গত কারণে উপজেলার বিভিন্ন এলাকাগুলো থেকে মানুষ এসে প্রতিদিনই বিদ্যুৎ অফিসে ভিড় জমাচ্ছেন নানান অভিযোগ নিয়ে। অনেকে গালমন্দও করছেন তাদেরকে।
দেবীদ্বার এস এ সরকারি কলেজের প্রভাষক মিতা চৌধুরীসহ তিন চার জনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং। অনেকে ক্ষোভ থেকে বলেন, বিদ্যুৎ যায় না মাঝেমধ্যে আসে এই এলাকায়। গরমে বাচ্চাদের পড়াশোনা তো দূরের কথা, ঠিকমতো ঘুমাতেই পারছে না। অসহ্য গরম আর মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে তাদের মতন অনেকে। বাড়িতে আইপিএস আছে। ঠিকমতো চার্জও হয় না।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ দেবীদ্বার জোনাল অফিসের উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) রেজাউল করিম খাঁন সরবরাহ কম দাবি করে জানায়, বিদ্যুতের এই সমস্যা জাতীয় সমস্যা। যা স্বল্প সময়েয়ের মধ্যে সমাধান হবে। দেবীদ্বারের বিষয়ে উপর মহলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।