নীলফামারীতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৩টি গ্রাম।
রবিবার সকাল ৮ টার দিকে ঘূর্ণিঝড় টি আঘাত করলে অন্তত পাঁচ শতাধিক কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।এসময় আহত হয় শিশু সহ অর্ধশতাধিক নারী পুরুষ।
ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে গাছপালা ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ার কারনে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন লিডার মোস্তাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে রাস্তার উপরে পরে থাকা গাছ অপসারণ করা যাচ্ছে না।তারা স্থানীয়দের সহযোগিতা চেয়েছেন। গাড়াগ্রাম দিমুখি উচ্চ বিদ্যালয় এর সভাপতি গোলাম শামীম জানান, সকালে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে অনেক কাঁচা পাকা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে এ সময় অনেক আহত হয়েছে। গাড়াগ্রাম মাঝাপাড়া গ্রামের মালেক উদ্দিনের ছেলে রাজমিস্ত্রি দুলু মিয়া(৩৪) জানান, গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পুর্ব দলিরাম গ্রামের হাজীপাড়া ও উত্তরপাড়া, পশ্চিম দলিরাম গ্রামের বানিয়াপাড়া ও পোদ্দারপাড়া ও গাড়াগ্রাম গ্রামের কালিথানপাড়ার প্রায় ৫ শতাধিক বাড়ীঘড় বিধ্বস্ত হয়েছে। কয়েক মিনিটের ঝড়ে গ্রামগুলো তছনছ হয়ে গেছে। বাড়ীঘড়ের টিনগুলো উড়ে গিয়ে গাছে ও বাশঁবাগানে ঝুঁলে আছে। গাড়াগ্রাম গ্রামের ইউপি চেয়ারম্যান জোনাব আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি আরো বলেন, উদ্ধার তৎপরতা চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে আঘতে গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন। ডিসিরমোড়ের আলতাব হোসেনের ছেলে তাইফুল (৩০) আব্দুল হোসেনের ছেলে তাসিন(২৫), হাছান আলীর ছেলে রয়েল(৩০), মফছার হোসেনের ছেলে ঘুলছান(৪০), ও আব্দুল মান্নানের ছেলে আতিক(২২)। আহতরা কিশোরগঞ্জ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া ২৫ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন অনেকে এখনও হাসপাতালে পৌঁছতে পারিনি। আহত গবাদি পশু সুরক্ষায় প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া শুরু করেছে কিশোরগঞ্জ প্রাণি সম্পদ দপ্তর।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় উদ্ধারকর্মীরা কাজ করছে। ক্ষয়-ক্ষতির পরিমান এখনোও হাতে আসেনি।
jn