দেশের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করে অবশেষে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। কিন্তু দেশের উপকূল অতিক্রমের আগে ছয় জেলায় ১৪ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। সিত্রাংয়ের প্রভাবে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ মানুষ।
শুধু তাই নয়, সিত্রাংয়ের কারণে সারাদেশে চার হাজার ৫৬৩টি মোবাইল টাওয়ার অচল হয়ে পড়েছে। এতে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়েস কল, এসএমএস এবং ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হয়। সমস্যার সৃষ্টি হয় মোবাইল নেটওয়ার্কে।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
বিটিআরসি জানায়, আগের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার টাওয়ার অচল হয়ে পড়ে। এর মধ্যে সচল হয়েছে ৬৮৪টি টাওয়ার।
মোবাইল অপারেটরদের দেওয়া তথ্যমতে, টেলিটকের ৪৩৮টির মধ্যে ৬৮টি, গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৬৮৩টির মধ্যে ৫৩৪টি, রবির ১ হাজার ৩৬৭টির মধ্যে ৮০টি, এবং বাংলালিংকের ১ হাজার ৭৫টির মধ্যে ২টি সচল করা হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে দুর্বল হয়ে পড়ায় সব সমুদ্রবন্দর থেকে বিপৎসংকেত নামানো হয়েছে। এর পরিবর্তে এখন ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি স্থল নিম্নচাপ আকারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের আসামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে নিম্নচাপটি ত্রিপুরা দিয়ে দুর্বল হয়ে বের হয়ে যাবে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বেশ কিছু অঞ্চলে আজও বৃষ্টি হতে পারে।