চাঁদার টাকা ভাগাভাগি দ্বদ্ধে শরীফ চৌধুরী খুনে জড়িত আরও দুইজন গ্রেফতার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি।।

ময়মনসিংহে নগরীর চরপাড়ায় শরীফ চৌধুরী শান্ত হত্যার ঘটনায় আরও দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। শনিবার (৯ এপ্রিল) ভোরে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লা থানার পাগলা রেললাইন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নগরীর সানকিপাড়া এলাকার মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ ওরফে মোহন (২১) এবং একই এলাকার মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে মো. মুনা (২৫)। রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা পিবিআই কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত সাড়ে ৪ টার দিকে আরও ৩ আসামী নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকার ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন, সানকিপাড়া এলকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. শান্ত ইসলাম (২০), সদর উপজেলার পরানগগঞ্জ ভাটিপাড়া এলাকার মো. কেরামত আলীর ছেলে মোঃ আরিফুজ্জামান আরিফ (২২), জেলার তারাকান্দা উপজেলার নুর মোহাম্মদের ছেলে মো. রাকিবুল হাসান তপু (২৫)।

এ বিষয়ে জেলা পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত শরীফ চৌধুরী শান্ত এবং হত্যাকান্ডে জড়িতরা সবাই একে অপরের বন্ধু ছিলেন। তারা নগরীর চরপাড়া এলাকায় একসাথে ওই এলাকার ফুটপথে অস্থায়ী দোকান থেকে সাপ্তাহিক চাঁদা তুলতেন। স¤প্রতি নিহত শরীফ আলাদা গ্রæপ করে চাঁদার টাকা তুলা শুরু করেন। পরে গ্রেফতারকৃতরা অনেক বুঝিয়ে শরীফকে তাদের গ্রæপে আসতে বলে এবং চাঁদার টাকা ভাগাভাগি করে নিতে বলেন। এতে শরীফ অস্বীকৃতি জানায়।

গ্রেফতারকৃতরা তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা মোতবেক বুধবার রাতে ১২ টার দিকে মন্ডল প্লাজা, চরপাড়া চৌধুরী ক্লিনিকের গলিতে ওৎপেতে বসে থাকেন। এসময় শরীফ আসতেই তাকে উপর্যুপরি ১৮ বার বুকে পিঠে ছুরিকাত করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয়রা শরীফকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

আরো দেখুনঃ