ঝালকাঠির এক কলেজছাত্রকে গাজীপুরের টঙ্গীতে জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে চাকরির প্রলোভনে পড়ে ওই কলেজছাত্র টঙ্গীতে আসেন। দুর্বৃত্তরা তাঁকে জিম্মি করে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ওই কলেজছাত্র বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভুক্তভোগী ওই তরুণের নাম মো. সরোয়ার রাব্বি (২০)। তিনি ঝালকাঠি সরকারি কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পাস করেছেন।
তিনি সদর উপজেলার আগরবাড়ি গ্রামের মো. শাহ জালালের ছেলে। শহরের পূর্ব চাঁদকাঠি এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন রাব্বিরা। ‘সাকিব হাসান’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে রাব্বিকে টঙ্গীতে চাকরির প্রলোভন দেওয়া হয়। সেই প্রলোভনে পড়ে বাড়ির কাউকে না জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠি থেকে লঞ্চে করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন রাব্বি। ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছানোর পর তাঁকে বাসে টঙ্গীতে যেতে বলা হয়। টঙ্গী যাওয়ার পর তাঁকে জিম্মি করে গত শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত একটি তিনতলা বাড়িতে নির্যাতন করে দুর্বৃত্তরা।
পরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল শনিবার সকালে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে ঢাকা থেকে লঞ্চে করে ঝালকাঠিতে ফেরেন রাব্বি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ছেলেটির শরীরে বৈদ্যুতিক শকের অনেক পোড়া ক্ষত আছে। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন। তাঁরা তাঁকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছেন। ছেলেটির বাবা বলেন, রাব্বি সুস্থ হলে গাজীপুরের টঙ্গী থানায় বিচার চেয়ে মামলা করা হবে।