২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পরিকল্পিত ষড়যন্তের কারণে ঢাকার পিলখানায় সংগঠিত হত্যাকান্ডের দায় চাপিয়ে দিয়ে বিডিআর সদস্যদের চাকুরীচ্যুত করার অভিযোগ তুলে সেই চাকুরী পুনঃবহাল করার দাবিতে পঞ্চগড়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড় জেলা বিডিআর কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। একই সাথে এ ঘটনায় কারাবন্দী বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবী সহ ৯ দফা দাবি তোলা হয়েছে।
এর আগে পঞ্চগড় জেলার চাকুরীচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়। সেখান থেকে একটি র্যালি নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সেখানে সাবেক বিডিআর সদস্যরা বক্তব্যে বলেন, একটি পরিকল্পিত ষড়যন্তের মাধ্যমে ঢাকার পিলখানায় হত্যাকান্ডা ঘটানো হয়। এর পর সেই দায় আমাদের বিডিআর সদস্যদের উপর দেয়া হয়। সে সময়ে চাকুরীচ্যুত করে অনেককে গ্রেফতার করা হয়। এর পর থেকে আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। অনেক সহকর্মী ভাই বন্দি থাকা অবস্থায় এই ১৫ বছরে মৃত্যুবরণও করেছে। আমরা এসকল ঘটনার বিচার দাবি করছি। একই সাথে আমাদের চাকুরী পুনঃবহাল করা সহ কারাবন্দী ভাইদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
পরে জেলা প্রশাসক সাবেত আলীর হাতে ৯ দফা দাবি সম্মলীত এবং হাবিলদার শহীদুর রহমানের স্বাক্ষরিত একটি স্বারকলিপি তুলে দেন সাবেক বিডিয়ার সদস্যরা। ৯ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর পিলখানা সংঘঠিত সুপরিকল্পিত হত্যাকান্ডকে তথা কথিত বিদ্রোহ সংঙ্গায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা, ঘটনার প্রেক্ষিতে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদােশে বাতিল করা, চাকুরীচ্যুত সকল পদবীসহ বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধাসহ চাকুরীতে পূর্ণবহাল করা।
এসময় স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন, তৎকালিন সাবেক বিডিআরের হাবিলদার শহীদুর রহমান, সাবেক বিডিআর সদস্য হাবিলদার হকিকুল ইসলাম, হাবিলদাল আশরাফুল ইসলাম, হাবিলদার মাহাবুব আলম, হাবিলদাল রুহুল আমিন, সিপাহী শুকুর আলী, সালেহ আকরাম সহ জেলার ৫ উপজেলার চাকুরীচ্যুত সাবেক বিডিয়ার সদস্যরা।